পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে থানা ভবন আলোকসজ্জা করা হয়। সেইসাথে থানা চত্বরে স্যালুটিং ডায়াচে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্টিলের পাইপের সাথে জড়িয়েও আলোকসজ্জা করা হয়েছিল।
কোনোভাবে তার লিকেজ হয়ে স্টিলের সেই পাইপ বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। এসআই দুলাল রাতে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে নিজের অজান্তেই সেই পাইপটি হাত দিয়ে ধরার সাথে সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এসআই দুলালের মৃত্যুর খবর পেয়ে আটঘরিয়ায় ছুটে যান জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মৃত এসআই দুলাল হোসেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাসানপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। দুই বছর আগে বদলী হয়ে আটঘরিয়া থানায় যোগদান করেছিলেন। সম্প্রতি তাকে একই জেলার সুজানগর থানায় বদলীর আদেশ হয়েছিল।
প্রিন্ট