কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামী ২৯ জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পশু কোরবানি করবেন সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মত নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ওছখালী পশুরহাটে ব্যাপক গরু-ছাগল কেনাবেচা হয় প্রতিবছর।
সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও শুক্রবারে এখানে হাট বসে। সেই হিসেবে সোমবার ২৬ জুন ছিল ঈদের আগে শেষ হাট। এবছর গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খরচের তুলনায় দাম না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন খামারিরা।
তাছাড়া সাম্প্রতিক লাম্পিং স্কিন ডিজিজ এ আক্রান্ত হয়ে অনেক গবাদীপশু মারা গেছে। এতে অনেকটাই পশু সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওছখালী পশুরহাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় চড়াও দাম হাকাচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। সোমবার বাজারে বড় গরু না থাকলেও ছোট ও মাঝারি গরুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এবছর অধিকাংশ মধ্যবিত্তরা এবার ঝুঁকছেন ছোট বা মাঝারি সাইজের পশু কোরবানিতে। অন্যদিকে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বছর জুড়ে গরু পালন এবং পরিচর্চায় খরচ বেশি হওয়া স্বত্বেও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে কম দামে গরু বিক্রি করছেন অনেকে। ঈদের আগ মূহুর্তে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে গরু আমদানী না হলে কিছুটা ক্ষতি পোষাতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন খামারীরা।
এদিকে সোমবার সরেজমিনে ওছখালী পশুহাটে গিয়ে অন্যান্য বারের মতো বিশালাকৃতির সারি সারি গরুর দেখা মেলেনি। হাতে গোনা ২ থেকে ৩টি বড় সাইজের গরু হাটে তুললেও ঘন্টার পর ঘন্টা রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থেকে বিক্রেতা গরুর দাম চাহিদানুযায়ী চাচ্ছে না।
পাশাপাশি দুইটি বড় ছাগল উঠেছিল। যার দাম ছিল ৪০ হাজার টাকা। আনুমানিক তার গায়ে মাংস আছে ৩০ থেকে ৩৫ কেজির মতো।
হাটে সবচেয়ে বড় সাইজের গরুর দাম ছিল ৩ লাখ টাকা। মাংসের পরিমান ছিল আনুমানিক আট মন।
খরচের তুলনায় দাম না পেয়ে রীতিমত হতাশার কথা জানিয়েছেন গরু বিক্রেতারা।
তবে ক্রেতাদের ভাষ্যনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম বেশি। যার কারনে সক্ষমতা না থাকায় অনেকেই পশু কিনতে পারছেননা। সবদিক মিলিয়ে ছোট পশু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওছখালী পশু হাটের ইজারা গ্রহিতা।
প্রিন্ট