বর্তমানে প্রতিটা বাবা-মায়ের একটাই চিন্তা শিশুর অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি। সব কাজেই ফোন চাই শিশুর। প্লাস্টিকের আলো জ্বলা খেলনা ফোন নয়। একেবারে আসল মোবাইল ফোন।
দিন দিন এই নেশা বাড়তে দেখে সমান তালে চিন্তাও বাড়ছে বাবা-মায়ের। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ছোটদের এই ধরনের গেজেট ব্যবহারের প্রতি আসক্তি প্রায় তিন গুণ বেড়েছে কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে। তবে এই অভ্যাসেও ইতি টানা যায়। তার জন্য কী কী করতে হবে জানেন?
১) শিশুর সামনে মোবাইল নয়
সন্তানকে বারণ করার আগে অভিভাবক বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সতর্ক হতে হবে। তাদের সামনে দীর্ঘক্ষণ ফোন নাড়াচাড়া করলে খুদেরাও ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। দিনে একটা সময় পর অভিভাবকদেরও ফোন ব্যবহারে লাগাম টানতে হবে।
২) সময় নির্ধারণ করে দিন
সন্তান সারা দিনে কতক্ষণ ফোন, টেলিভিশন বা কম্পিউটারে সময় অতিবাহিত করবে, সেই সময় বেঁধে দিতে হবে অভিভাবককেই। সন্তান সেই সময় মেনে চলছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
৩) সব আবদারে প্রশ্রয় দেবেন না
কান্নাকাটি করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলেও সন্তানের সব আবদার না রাখাই ভাল। তাদের অবান্তর চাহিদা বা খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে অনন্ত সময় ফোন ঘেঁটে চলার মতো বিষয়ে আগে থেকে লাগাম টেনে রাখুন।
৪) তাদের অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন
পড়াশোনা ছাড়াও এমন অনেক সৃজনশীল কাজ রয়েছে, যেগুলি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ঘরের বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করা, সমবয়সিদের সঙ্গে আলাপ করাও কিন্তু এক প্রকার অভ্যাস। যা ছোট থেকে করাতে পারলে ভাল।
৫) বাড়িতে একাধিক গেজেট রাখবেন না
আপনি ফোন নিয়ে কাজে চলে যান। কিন্তু তার পরেও হাতের নাগালে এমন অনেক ডিভাইস থাকে, যা খুব সহজেই শিশুকে আকৃষ্ট করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনও সে ব্যবহার করতে পারে। এই সব বিষয়গুলি থেকে সন্তানকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
প্রিন্ট