কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে স্বামী ও শাশুড়ীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ নুরজাহান খাতুন গলায় দড়ি অত:পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ দিন পর গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের নারে মন্ডলের কন্যা নুরজাহান এর সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া গ্রামের আকমালের ছেলে তুহিনের। তুহিন একজন অটো চালক। তাদের একটা কন্যা সন্তান ও রয়েছে।
নুরজাহানের পিতা নারে মন্ডল জানায়, বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ বিষয়েই স্বামী তুহিন ও দাজ্জাল শাশুড়ী পারুল বেগম অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে মেয়ে নুরজাহানের উপর। তবুও নুরজাহান তার ছোট্ট মেয়ে নিলার কথা চিন্তা করে নানা নির্যাতন সহ্য করে আসছেন বছরের পর বছর। তবুও সংসার ছাড়েনি নুরজাহান।
গত ১৩জুন, মঙ্গলবার স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামী তুহিনের ঘরে গলাই দড়ি নেয় গৃহবধূ নুরজাহান। পরে তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরজাহানকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সেখানে ২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহবধূ নুরজাহানের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হক।
প্রিন্ট