ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে কোরবানিকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

কোরবানিকে সামনে রেখে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মাস্টার বাড়ি এগ্রো ফার্মের পরিচালক চরমানাইর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল হাসান ফারুক। দেশীয় জাতের ৫০ টি গরু নিয়ে এবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি। প্রাকৃতিক উপায়ে লালনপালন করা এসব দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে হাটে।

২০১৬ সালে তিন ভাইয়ের সহযোগীতায় নিজ এলাকায় শুরু করেন মাস্টার বাড়ি এগ্রো নামে একটি গরুর ফার্ম। দেশীয় জাতের ছোট-বড় প্রায় ৫০ টি ষাঁড় গরু দিয়ে এবছর গড়ে তুলেছেন তার খামার। ৭০ হাজার থেকে পৌনে ২ লাখ টাকায় কেনা এসব গরু এখন ২ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি। গবাদিপশু গুলোকে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে মোটা-তাজা করতে ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছেন ৫ জন খামার শ্রমিক ।

দেশীয় প্রজাতির লাল, কালো ও সাদা রঙ্গের এসব গরুকে দ্রুত বড় ও এদের থেকে অধিক মাংস পেতে সুষম খাবারের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভাবে লালনপালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর পেছনে সুষম খাবার জন্য ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গেল বছর শেষ সময়ে ভারত থেকে গরু প্রবেশ করায় দেশীয় গরুর দাম কমে যায়, এতে লোকসানের শিকার হন ফারুকসহ স্থানীয় খামারীরা। এবার তাই দেশীয় গরুর বাজার পেতে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধের দাবি তাদের।

 

 

দেশীয় গরুর খামারকে আরও বেশি জনপ্রিয় করতে গো-খাদ্যের দাম কমানোসহ সহজ শর্তে ঋণ চান খামারিরা। প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে উপজেলায় প্রায় ২ হাজারের অধিক গরু মোটা-তাজাকরন খামার এবং প্রায় ৫০০ এর অধিক ছাগলের খামার রয়েছে। কোরবানিযোগ্য গরু আছে ২০ হাজারের অধিক এবং ছাগল আছে ২৮ হাজারের অধিক। চলতি বছরে গরুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার এবং ছাগল প্রায় ১৯ হাজার।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

সদরপুরে কোরবানিকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

আপডেট টাইম : ০১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
মোঃ হুমায়ুন কবির তুহিন, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

কোরবানিকে সামনে রেখে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মাস্টার বাড়ি এগ্রো ফার্মের পরিচালক চরমানাইর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল হাসান ফারুক। দেশীয় জাতের ৫০ টি গরু নিয়ে এবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি। প্রাকৃতিক উপায়ে লালনপালন করা এসব দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে হাটে।

২০১৬ সালে তিন ভাইয়ের সহযোগীতায় নিজ এলাকায় শুরু করেন মাস্টার বাড়ি এগ্রো নামে একটি গরুর ফার্ম। দেশীয় জাতের ছোট-বড় প্রায় ৫০ টি ষাঁড় গরু দিয়ে এবছর গড়ে তুলেছেন তার খামার। ৭০ হাজার থেকে পৌনে ২ লাখ টাকায় কেনা এসব গরু এখন ২ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি। গবাদিপশু গুলোকে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে মোটা-তাজা করতে ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছেন ৫ জন খামার শ্রমিক ।

দেশীয় প্রজাতির লাল, কালো ও সাদা রঙ্গের এসব গরুকে দ্রুত বড় ও এদের থেকে অধিক মাংস পেতে সুষম খাবারের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভাবে লালনপালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর পেছনে সুষম খাবার জন্য ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গেল বছর শেষ সময়ে ভারত থেকে গরু প্রবেশ করায় দেশীয় গরুর দাম কমে যায়, এতে লোকসানের শিকার হন ফারুকসহ স্থানীয় খামারীরা। এবার তাই দেশীয় গরুর বাজার পেতে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধের দাবি তাদের।

 

 

দেশীয় গরুর খামারকে আরও বেশি জনপ্রিয় করতে গো-খাদ্যের দাম কমানোসহ সহজ শর্তে ঋণ চান খামারিরা। প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে উপজেলায় প্রায় ২ হাজারের অধিক গরু মোটা-তাজাকরন খামার এবং প্রায় ৫০০ এর অধিক ছাগলের খামার রয়েছে। কোরবানিযোগ্য গরু আছে ২০ হাজারের অধিক এবং ছাগল আছে ২৮ হাজারের অধিক। চলতি বছরে গরুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার এবং ছাগল প্রায় ১৯ হাজার।

 


প্রিন্ট