ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ Logo বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা Logo বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিন সহ ০১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo চরভদ্রাসন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ভোট প্রার্থনায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা Logo সালথায় বালু উত্তোলন ও বনাঞ্চল উজাড় করে মাটি বিক্রির দায়ে জরিমানা Logo তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ Logo জমি বাড়ি থেকেও আবাসন ঘর বাগিয়ে নিলেন খইমদ্দিন Logo নাগেশ্বরীতে ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালিত Logo মুকসুদপুরে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু Logo সুবর্ণচরে সংখ্যালঘুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পতিত জমিতে হচ্ছে চাষ কৃষকের লাভ দিগুণ

চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছেন কচু চাষে

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবজি হিসেবে কচুর চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরাঞ্চলে। দুর্যোগ সহনীয় এবং অন্যান্য সবজির চেয়ে তুলনামূলক লাভজনক হওয়ায় মধুমতি ও গোপালপুর বাওড়ের পাড়ের কৃষকরা কচু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিদিনই সবজি হিসেবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কচু, কচুর লতি ও ডাঁটাসহ পাতা বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা, নন্দ্রিগ্রাম, কুমুরতিয়া ও টিটা পানাইল গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছিল মধুমতি নদী। নদীটি এখন বাওড়ে পরিণত হয়েছে।

গোপালপুর গ্রামের এক অংশের ওপর দিয়ে মধুমতি নদী ছিল সেখানেও বাওড়ে পরিণত হয়েছে। এসব বাওড়ের দুই পাশের চরাঞ্চলে পড়ে থাকা পতিত জমিতে হচ্ছে কচু চাষ। চরাঞ্চলের চাষ করা কৃষকদের কচুর চাহিদা বেশি। এখানে জমির পলিযুক্ত দোআঁশ মাটিতে কচুর আবাদ ভালো হয়ে থাকে। মাটির গুনাগুন ভালো থাকায় সার, কৃটনাশক কম ব্যবহার হয়। এ জন্য কৃষকদে লাভ বেশি হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কচুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাওড়ের পাড়ের কৃষকরা নিচু জমিতে সাদা কচুর আবাদ করছেন।

মধুমতী বাওড়ের পাশে নন্দ্রীগ্রামের কৃষক খোকন শেখ বলেন, এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে কচুর চাষ করেছি। সর্বমোট আমার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। প্রায় পাঁচ হাজার পিচ কচু ক্ষেতে বড় হয়েছে। ক্ষেত থেকে বেপারীরা প্রতি পিচ ৫০ টাকা করে নিয়ে যায়। রমজান মাস থেকে কচুর লতি বিক্রি করছি। অর্ধ লক্ষ টাকার বেশি কচুর লতি বিক্রি করেছি। আবহওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর ৬০ শতাংশ জমি থেকে কচু চাষ করে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।

গোপালপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ খান বলেন, ১১ শতাংশ জমি ১১ শত টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে কচু চাষ করতে গিয়ে ১২ হাজাট টাকার খরচ হয়েছে। ক্ষেতে প্রায় এক হাজার কচু হয়েছে অধিকাংশ কচু বিক্রি করে দিয়েছি। প্রতি পিচ কচু ক্ষেত থেকে বেপারীরা ৩৫-৪০ টাকা করে কিনে নিয়েছে। এ বছর কচু ক্ষেত থেকে ২২-২৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের সবজি বিক্রেতা সবজু মিয়া বলেন, সপ্তাহে দুই দিন আলফাডাঙ্গা হাট বসে। নন্দীগ্রাম ও গোপালপুর গ্রাম থেকে কচু ক্রয় করে হাটের দিনে বিক্রি করি। প্রতি পিচ কচু গড়ে ৩৫-৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে ৫০-৮০ টাকা বিক্রি করছি।

আলফাডাঙ্গায় বাজার করতে এসে বড় সাইজের একটি কচু ৮০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে মাহাতাব উদ্দিন বলেন, বাজারে অন্য সবজির তুলনায় কচুর দাম কম। পরিবারের সবাই কচু খেতে পছন্দ করে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, মধুমতি চরাঞ্চলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কচুর চাহিদার পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণও বেড়েছে। কম পরিশ্রমেই চাষ করা যায় এই সজবি। তাই মধুমতি চরাঞ্চলের কৃষক কচু চাষে ঝুঁকছেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ

error: Content is protected !!

পতিত জমিতে হচ্ছে চাষ কৃষকের লাভ দিগুণ

চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছেন কচু চাষে

আপডেট টাইম : ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবজি হিসেবে কচুর চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরাঞ্চলে। দুর্যোগ সহনীয় এবং অন্যান্য সবজির চেয়ে তুলনামূলক লাভজনক হওয়ায় মধুমতি ও গোপালপুর বাওড়ের পাড়ের কৃষকরা কচু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিদিনই সবজি হিসেবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কচু, কচুর লতি ও ডাঁটাসহ পাতা বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা, নন্দ্রিগ্রাম, কুমুরতিয়া ও টিটা পানাইল গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছিল মধুমতি নদী। নদীটি এখন বাওড়ে পরিণত হয়েছে।

গোপালপুর গ্রামের এক অংশের ওপর দিয়ে মধুমতি নদী ছিল সেখানেও বাওড়ে পরিণত হয়েছে। এসব বাওড়ের দুই পাশের চরাঞ্চলে পড়ে থাকা পতিত জমিতে হচ্ছে কচু চাষ। চরাঞ্চলের চাষ করা কৃষকদের কচুর চাহিদা বেশি। এখানে জমির পলিযুক্ত দোআঁশ মাটিতে কচুর আবাদ ভালো হয়ে থাকে। মাটির গুনাগুন ভালো থাকায় সার, কৃটনাশক কম ব্যবহার হয়। এ জন্য কৃষকদে লাভ বেশি হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কচুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাওড়ের পাড়ের কৃষকরা নিচু জমিতে সাদা কচুর আবাদ করছেন।

মধুমতী বাওড়ের পাশে নন্দ্রীগ্রামের কৃষক খোকন শেখ বলেন, এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে কচুর চাষ করেছি। সর্বমোট আমার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। প্রায় পাঁচ হাজার পিচ কচু ক্ষেতে বড় হয়েছে। ক্ষেত থেকে বেপারীরা প্রতি পিচ ৫০ টাকা করে নিয়ে যায়। রমজান মাস থেকে কচুর লতি বিক্রি করছি। অর্ধ লক্ষ টাকার বেশি কচুর লতি বিক্রি করেছি। আবহওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর ৬০ শতাংশ জমি থেকে কচু চাষ করে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।

গোপালপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ খান বলেন, ১১ শতাংশ জমি ১১ শত টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে কচু চাষ করতে গিয়ে ১২ হাজাট টাকার খরচ হয়েছে। ক্ষেতে প্রায় এক হাজার কচু হয়েছে অধিকাংশ কচু বিক্রি করে দিয়েছি। প্রতি পিচ কচু ক্ষেত থেকে বেপারীরা ৩৫-৪০ টাকা করে কিনে নিয়েছে। এ বছর কচু ক্ষেত থেকে ২২-২৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের সবজি বিক্রেতা সবজু মিয়া বলেন, সপ্তাহে দুই দিন আলফাডাঙ্গা হাট বসে। নন্দীগ্রাম ও গোপালপুর গ্রাম থেকে কচু ক্রয় করে হাটের দিনে বিক্রি করি। প্রতি পিচ কচু গড়ে ৩৫-৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে ৫০-৮০ টাকা বিক্রি করছি।

আলফাডাঙ্গায় বাজার করতে এসে বড় সাইজের একটি কচু ৮০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে মাহাতাব উদ্দিন বলেন, বাজারে অন্য সবজির তুলনায় কচুর দাম কম। পরিবারের সবাই কচু খেতে পছন্দ করে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, মধুমতি চরাঞ্চলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কচুর চাহিদার পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণও বেড়েছে। কম পরিশ্রমেই চাষ করা যায় এই সজবি। তাই মধুমতি চরাঞ্চলের কৃষক কচু চাষে ঝুঁকছেন।