ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ৫ Logo সমাজসেবার বিশেষ অবদানে সম্মাননা স্মারক পেলেন দৌলতদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল Logo তানোরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী Logo খোকসায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এমপি আব্দুর রউফ Logo লালপুরে প্রেমিককে কুপিয়ে জখম, প্রেমিকা আটক Logo গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র ও ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ Logo নগরকান্দায় প্রবীণ গ্রাম্য ডাক্তারকে পিটিয়ে আহত করলো কথিত সাংবাদিক Logo চরভদ্রাসনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা Logo তানোরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণে ব্যাপক সাড়া
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে ১৪–১৭ টাকা কেজিতে

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির প্রথম দিন গতকাল সোমবার দেশের তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৪০৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে গড়ে প্রায় সাড়ে ১৫ টাকায়। নয়জন ব্যবসায়ী প্রথম দিন এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আজ মঙ্গলবারও স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির খবর পাওয়া গেছে।

প্রথম দিন তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই তিনটি বন্দর হলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। তিন স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনের তথ্যে দেখা যায়, প্রতি চালানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৩ থেকে ১৬ সেন্টে। ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা ধরে মানভেদে আমদানিমূল্য দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। গড়ে দাম পড়ে কেজি প্রতি প্রায় সাড়ে ১৫ টাকা। প্রতি কেজিতে করভার গড়ে সাড়ে ৩ টাকা। এ হিসাবে শুল্ক-করসহ পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ে প্রায় ১৯ টাকা।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের কর্ণধার হারুন-উর রশীদ বলেন, গরমের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বেশি। সবকিছু ধরেও প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়তে পারে। ভোক্তা পর্যায়ে এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।

আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো খুচরা বাজারে সেভাবে বাজারজাত হয়নি। কাল-পরশুর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারজাত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন আমদানিকারকেরা।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো খাতুনগঞ্জে বাজারজাত শুরু হয়নি। তবে আমদানির প্রভাবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম ৮০-৮৫ থেকে কমে এখন ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে।

পেঁয়াজ আমদানি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি নিয়েই ব্যাংকে ঋণপত্র খুলতে পারেন আমদানিকারকেরা। কৃষকদের স্বার্থে গত মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় কৃষি বিভাগ। তাই গত ১৫ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল

error: Content is protected !!

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে ১৪–১৭ টাকা কেজিতে

আপডেট টাইম : ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির প্রথম দিন গতকাল সোমবার দেশের তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৪০৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে গড়ে প্রায় সাড়ে ১৫ টাকায়। নয়জন ব্যবসায়ী প্রথম দিন এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আজ মঙ্গলবারও স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির খবর পাওয়া গেছে।

প্রথম দিন তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই তিনটি বন্দর হলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। তিন স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনের তথ্যে দেখা যায়, প্রতি চালানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৩ থেকে ১৬ সেন্টে। ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা ধরে মানভেদে আমদানিমূল্য দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। গড়ে দাম পড়ে কেজি প্রতি প্রায় সাড়ে ১৫ টাকা। প্রতি কেজিতে করভার গড়ে সাড়ে ৩ টাকা। এ হিসাবে শুল্ক-করসহ পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ে প্রায় ১৯ টাকা।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের কর্ণধার হারুন-উর রশীদ বলেন, গরমের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বেশি। সবকিছু ধরেও প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়তে পারে। ভোক্তা পর্যায়ে এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।

আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো খুচরা বাজারে সেভাবে বাজারজাত হয়নি। কাল-পরশুর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারজাত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন আমদানিকারকেরা।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো খাতুনগঞ্জে বাজারজাত শুরু হয়নি। তবে আমদানির প্রভাবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম ৮০-৮৫ থেকে কমে এখন ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে।

পেঁয়াজ আমদানি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি নিয়েই ব্যাংকে ঋণপত্র খুলতে পারেন আমদানিকারকেরা। কৃষকদের স্বার্থে গত মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় কৃষি বিভাগ। তাই গত ১৫ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।