ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জে ভিটেবাড়ী দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জোর করে ভিটেবাড়ী দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছে দরিদ্র পরিবারের দুই নারী সদস্য।

৫ জুন সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতাল ও হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাব (জিপিসি)’র হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দুই নারী সদস্য বিউটি বেগম ও রেশমা বেগম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন ৯৭ নং খাটরা মৌজার ১৩০২ নং খতিয়ানের ২৫৪ নং দাগের ১১ শতাংশ ভূমি আমাদের বাবা দাদাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা আমরা ৫০ বছরের উপরে ভোগদখল করে আসছি।

হঠাৎ করে আমাদের প্রতিবেশী গেটপাড়া এলাকার ফুলমিয়া মোল্লার ছেলে (ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান) বানোয়াট দলিল দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী ভাড়া করে ভিটেবাড়ীর একটি অংশ জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। আমরা নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হই।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই ভূমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি সহকারী কমিশনার ভূমি গোপালগঞ্জ সদর কে তদন্ত ও গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। কোর্ট পিটিশন নম্বর-৪৩০/২০২৩ খ্রিঃ।

পরবর্তিতে সদর থানার এ, এস, আই আসাদুজ্জামান নালিশি ভূমিতে জবরদখলকারীদের প্রবেশ বন্ধের নোটিশ জারি করে। একপর্যায়ে ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে আবারও ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। আমরা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি ন্যায়ের পক্ষে আমাদের কোন সাহায্য করেনি। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষ আমরা আমাদের ভিটেবাড়ী ফেরত চাই।

এবিষয়ে এ এস আই আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়, আমি উভয়পক্ষকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিশ দিয়েছি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানান, আদালতের এধরনের মামলায় পুলিশ শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। আমার থানার কোন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জে ভিটেবাড়ী দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন, গোপালগঞ্জ অফিস :

গোপালগঞ্জে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জোর করে ভিটেবাড়ী দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছে দরিদ্র পরিবারের দুই নারী সদস্য।

৫ জুন সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতাল ও হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাব (জিপিসি)’র হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দুই নারী সদস্য বিউটি বেগম ও রেশমা বেগম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন ৯৭ নং খাটরা মৌজার ১৩০২ নং খতিয়ানের ২৫৪ নং দাগের ১১ শতাংশ ভূমি আমাদের বাবা দাদাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা আমরা ৫০ বছরের উপরে ভোগদখল করে আসছি।

হঠাৎ করে আমাদের প্রতিবেশী গেটপাড়া এলাকার ফুলমিয়া মোল্লার ছেলে (ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান) বানোয়াট দলিল দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী ভাড়া করে ভিটেবাড়ীর একটি অংশ জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। আমরা নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হই।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই ভূমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি সহকারী কমিশনার ভূমি গোপালগঞ্জ সদর কে তদন্ত ও গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। কোর্ট পিটিশন নম্বর-৪৩০/২০২৩ খ্রিঃ।

পরবর্তিতে সদর থানার এ, এস, আই আসাদুজ্জামান নালিশি ভূমিতে জবরদখলকারীদের প্রবেশ বন্ধের নোটিশ জারি করে। একপর্যায়ে ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে আবারও ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। আমরা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি ন্যায়ের পক্ষে আমাদের কোন সাহায্য করেনি। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষ আমরা আমাদের ভিটেবাড়ী ফেরত চাই।

এবিষয়ে এ এস আই আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়, আমি উভয়পক্ষকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিশ দিয়েছি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানান, আদালতের এধরনের মামলায় পুলিশ শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। আমার থানার কোন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


প্রিন্ট