ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মুকসুদপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ঘুষ দাবি ও হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার খান্দাপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ সাব্বির খাঁনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও হয়রানির সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিবন্ধি মৃত মিতার পরিবার। ৩১ মে বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মুকসুদপুর রিপোটার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবন্ধি মৃত মিতা উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের ভাটড়া গ্রামে আয়ুব আলীর মেয়ে।
পরিবারের পক্ষে মৃত মিতার বোন ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বোন মিতা খান্দারপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পরিবার কল্যাণ সহকারি হিসাবে কর্মরতা অবস্থায় গত ১০ মার্চ ২০২২ইং তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। আমার বাবার বয়স ৬০ এর উর্দ্ধে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় আমি একমাত্র বোন হিসাবে  বিষয়টি মুকসুদপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিগত ১৩ ডিসেম্বার ২০২২ইং তারিখে লিখিত ভাবে অবহিত করি ও তার মৃত্যুজনিত কারণে আর্থিক অনুদান পাওয়া প্রসঙ্গে আবেদন করি।
উল্লেখ্য আমার বোন মৃত মিতার স্বামী মোঃ মাফুজ মোল্যা পুনরায় বিবাহ করার একমাত্র বৈধ ওয়ারিস হিসাবে আমার পিতা মোঃ আয়ুব আলী হওয়ার মর্মে আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুহহাম্মাদ সাব্বির খাঁনের নিকট ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য যাই। তিনি আমাকে  ১লা অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে আমার বোন মৃত মিতা ও তার স্বামী একই ইউনিয়ন নিবাসী ধীরাইল গ্রামের আকরাম মোল্যার পুত্র মাফুজ মোল্যা যে পুনরায় বিবাহ করেছেন, মর্মে প্রত্যয়ন পত্র পদান করেন এবং উত্তরাধীকারী সনদ হিসাবে সনদ নং-১৫২৫২৮০০০২৩১ অনলাইন কাপি যাহার মৃত সনদ নং-১৯৯৪৩৫১৫৮৫৫১০০০৮৫ বিগত ২৮শে আগস্ট ২০২২ইং তারিখে প্রদান করেন।
অথচ আনুতোষিক ও অবসর ভাতা উত্তোলনের জন্য ক্ষমতা অর্পণ ও অভিভাবক মনোনয়ন প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করিবার পূর্বে চেয়ারম্যান মোঃ সাব্বির খাঁন মৃত মিতার মৃত্যুজনিত কারণে দাবিকৃত সরকারী আর্থিক অনুদান আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকার অর্ধেক ৪ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবি করে।
এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ও টাকা দিতে রাজি না হলে ক্ষমতার অর্পনের প্রত্যয়ন পত্র দিতে অস্বীকার করেন।
অতপর আমার বোনের স্বামী মাফুজ মোল্যার সাথে যোগসাযোগে একই উত্তরাধীকারী সনদ একই দিনে অপর একটি ইস্যু করেন। সেখানে মাফুজ মোল্যাকে ও মৃত মিতার স্বামী হিসাবে ওয়ারিশ দেখানো হয়।
এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে চেয়ারম্যান সাব্বির খাঁন একই সনদ নং-১৫২৫২৮০০০২৩১ এর ২টি উত্তরাধীকারি সনদ প্রদান করেন যা আইনগতভাবে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য বটে। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময় আমি নিরুপায় হয়ে চেয়ারম্যান মোঃ সাব্বির খাঁন এর নিকট অনুনয় অনুযোগ করে ক্ষমতা অর্পনের প্রত্যয়ন পত্র দাবী করলে প্রতিবারই তিনি অস্বিকৃতি জানান ও টাকা দাবি করেন এবং সেই সাথে নানান সময় নানান ভাবে মাফুজ মোল্যা আমাকে ও আমার অসুস্থ্য পিতাকে মৃত্যুর হুমকি সহ এলাকা হতে বিতারিত করার হুমকি প্রদান করেন।
বর্তমানে আমি এবং আমার পিতা চরমভাবে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন একটি অসহায় পরিবারে দিকে মানবিক দৃষ্টি প্রদান করতঃ চেয়ারম্যান সাব্বির খাঁনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের ও আমাদের সরকারি অনুদান প্রাপ্তির কামনা করছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

মুকসুদপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ঘুষ দাবি ও হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার খান্দাপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ সাব্বির খাঁনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও হয়রানির সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিবন্ধি মৃত মিতার পরিবার। ৩১ মে বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মুকসুদপুর রিপোটার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবন্ধি মৃত মিতা উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের ভাটড়া গ্রামে আয়ুব আলীর মেয়ে।
পরিবারের পক্ষে মৃত মিতার বোন ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বোন মিতা খান্দারপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পরিবার কল্যাণ সহকারি হিসাবে কর্মরতা অবস্থায় গত ১০ মার্চ ২০২২ইং তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। আমার বাবার বয়স ৬০ এর উর্দ্ধে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় আমি একমাত্র বোন হিসাবে  বিষয়টি মুকসুদপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিগত ১৩ ডিসেম্বার ২০২২ইং তারিখে লিখিত ভাবে অবহিত করি ও তার মৃত্যুজনিত কারণে আর্থিক অনুদান পাওয়া প্রসঙ্গে আবেদন করি।
উল্লেখ্য আমার বোন মৃত মিতার স্বামী মোঃ মাফুজ মোল্যা পুনরায় বিবাহ করার একমাত্র বৈধ ওয়ারিস হিসাবে আমার পিতা মোঃ আয়ুব আলী হওয়ার মর্মে আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুহহাম্মাদ সাব্বির খাঁনের নিকট ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য যাই। তিনি আমাকে  ১লা অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে আমার বোন মৃত মিতা ও তার স্বামী একই ইউনিয়ন নিবাসী ধীরাইল গ্রামের আকরাম মোল্যার পুত্র মাফুজ মোল্যা যে পুনরায় বিবাহ করেছেন, মর্মে প্রত্যয়ন পত্র পদান করেন এবং উত্তরাধীকারী সনদ হিসাবে সনদ নং-১৫২৫২৮০০০২৩১ অনলাইন কাপি যাহার মৃত সনদ নং-১৯৯৪৩৫১৫৮৫৫১০০০৮৫ বিগত ২৮শে আগস্ট ২০২২ইং তারিখে প্রদান করেন।
অথচ আনুতোষিক ও অবসর ভাতা উত্তোলনের জন্য ক্ষমতা অর্পণ ও অভিভাবক মনোনয়ন প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করিবার পূর্বে চেয়ারম্যান মোঃ সাব্বির খাঁন মৃত মিতার মৃত্যুজনিত কারণে দাবিকৃত সরকারী আর্থিক অনুদান আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকার অর্ধেক ৪ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবি করে।
এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ও টাকা দিতে রাজি না হলে ক্ষমতার অর্পনের প্রত্যয়ন পত্র দিতে অস্বীকার করেন।
অতপর আমার বোনের স্বামী মাফুজ মোল্যার সাথে যোগসাযোগে একই উত্তরাধীকারী সনদ একই দিনে অপর একটি ইস্যু করেন। সেখানে মাফুজ মোল্যাকে ও মৃত মিতার স্বামী হিসাবে ওয়ারিশ দেখানো হয়।
এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে চেয়ারম্যান সাব্বির খাঁন একই সনদ নং-১৫২৫২৮০০০২৩১ এর ২টি উত্তরাধীকারি সনদ প্রদান করেন যা আইনগতভাবে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য বটে। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময় আমি নিরুপায় হয়ে চেয়ারম্যান মোঃ সাব্বির খাঁন এর নিকট অনুনয় অনুযোগ করে ক্ষমতা অর্পনের প্রত্যয়ন পত্র দাবী করলে প্রতিবারই তিনি অস্বিকৃতি জানান ও টাকা দাবি করেন এবং সেই সাথে নানান সময় নানান ভাবে মাফুজ মোল্যা আমাকে ও আমার অসুস্থ্য পিতাকে মৃত্যুর হুমকি সহ এলাকা হতে বিতারিত করার হুমকি প্রদান করেন।
বর্তমানে আমি এবং আমার পিতা চরমভাবে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন একটি অসহায় পরিবারে দিকে মানবিক দৃষ্টি প্রদান করতঃ চেয়ারম্যান সাব্বির খাঁনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের ও আমাদের সরকারি অনুদান প্রাপ্তির কামনা করছি।

প্রিন্ট