ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ Logo ৭ জুন হতে পারে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ Logo দুবাইয়ে বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জমকালো অনুষ্ঠান Logo কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ Logo সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্নঃ -শিক্ষা উপদেষ্টা Logo যশোরে শিক্ষার্থী অপহরণের দায়ে যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড Logo তানোরে শিব নদীর নাব্যতা সংকট বিপাকে মৎস্যজীবীরা Logo পাংশায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo সদরপুরে আকাশে উড়ার প্যারামোটর তৈরী করে চমক দেখালেন মারুফ Logo অন্তর্বর্তীকালীন শিক্ষা উপদেষ্টার ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য ভবন উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় বিধবা মহিলার জমি জালিয়াতি দলিল করে মাদ্রাসার নামে দান

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গোপালপুর মৌজার ২১ শতক জমি জালিয়াতি ও প্রতারণা করে হান্নান মোল্যার মাদ্রাসার নামে দলিল করে দিয়েছে। ঘটনার পূর্ব সূত্রপাত হলো ১৯৬২ সালের খতিয়ান নং- ২১৩৭, দাগ নং- ৩১৪৫ এর ৩৫ শতক জমির মধ্যে ২৬ শতক জমির মালিক হচ্ছে আব্দুল জব্বার মিয়া মাস্টার। আব্দুল জব্বারের আপন ছোট ভাই বারী মিয়ার বড় ছেলে হান্নান মোল্যা জমির মালিক না হয়েও গরীব হোসেন বারী মিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় দান করে ২১ শতক জমি ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৬ সালে আর একারণেই মাদ্রাসার জায়গার জমির দান সঠিক নয়।
জমির প্রকৃত মালিক মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাম্মৎ জমিলা খাতুনের নামে ১৯৮১ সালের ২০ মার্চ তারিখে মহম্মদপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ১২২১, ১২২২, ১২২৩ ও ১২২৪ নং চারটি দলিলে পর্যায়ক্রমে ৯১.৫০ শতক, ৮৯.৭৫ শতক, ৯০.০০ শতক ও ৮৮.৫০ শতক মোট ৩৫৯.৭৫ শতক অথ্যাৎ ৩ একর ৬০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি কবলা দলিল হয়। জমিলা খাতুনের নামে ১৯৮৪ সালে বড়রিয়া গোপালপুর মৌজার ৩ একর ৬০ শতক জমি, খতিয়ান নং- ১০২৪ এ রেকর্ড হয়ে যায়। বর্তমানে ১২২২ নং দলিলের ৮৯.৭৫ শতক জমির মধ্যে থেকে ৩৫ শতক জমির সাবেক দাগ ৩১৪৫ এবং হাল দাগ ৪২৮৯ এর মধ্যে জমিলা খাতুনের জমি আছে ২৭ শতক এবং হান্নান মোল্যা ৪ শতক জমি ও হুমায়ুন মোল্যার ৪ শতক জমি।
জমির মালিক জমিলা খাতুন বলেন, যখন দাতা হান্নান মোল্যার জমি রেকর্ড হয়েছে মাত্র ৪ শতক তাও নিজ নামে। তাহলে গরীব হোসেন বারী মিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি এই খানে কোথায়। তাহলে কেন একজন বিধবা নারীকে কেন্দ্র করে, মসজিদ ও মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার মানুষকে একত্রিত করে এই সব জমি দখলের পায়তারা চলছে। তিনি আরও বলেন হান্নান মোল্যা ১৯৮৪ সালে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আমাদেরকে না জানিয়ে গোপনে ২১ শতক জমির যে দলিল করে ছিলো এটার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আমার নিজের জমির অবমুক্ত চাই ও সঠিক বিচার চাই এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

error: Content is protected !!

মাগুরায় বিধবা মহিলার জমি জালিয়াতি দলিল করে মাদ্রাসার নামে দান

আপডেট টাইম : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা :
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গোপালপুর মৌজার ২১ শতক জমি জালিয়াতি ও প্রতারণা করে হান্নান মোল্যার মাদ্রাসার নামে দলিল করে দিয়েছে। ঘটনার পূর্ব সূত্রপাত হলো ১৯৬২ সালের খতিয়ান নং- ২১৩৭, দাগ নং- ৩১৪৫ এর ৩৫ শতক জমির মধ্যে ২৬ শতক জমির মালিক হচ্ছে আব্দুল জব্বার মিয়া মাস্টার। আব্দুল জব্বারের আপন ছোট ভাই বারী মিয়ার বড় ছেলে হান্নান মোল্যা জমির মালিক না হয়েও গরীব হোসেন বারী মিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় দান করে ২১ শতক জমি ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৬ সালে আর একারণেই মাদ্রাসার জায়গার জমির দান সঠিক নয়।
জমির প্রকৃত মালিক মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাম্মৎ জমিলা খাতুনের নামে ১৯৮১ সালের ২০ মার্চ তারিখে মহম্মদপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ১২২১, ১২২২, ১২২৩ ও ১২২৪ নং চারটি দলিলে পর্যায়ক্রমে ৯১.৫০ শতক, ৮৯.৭৫ শতক, ৯০.০০ শতক ও ৮৮.৫০ শতক মোট ৩৫৯.৭৫ শতক অথ্যাৎ ৩ একর ৬০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি কবলা দলিল হয়। জমিলা খাতুনের নামে ১৯৮৪ সালে বড়রিয়া গোপালপুর মৌজার ৩ একর ৬০ শতক জমি, খতিয়ান নং- ১০২৪ এ রেকর্ড হয়ে যায়। বর্তমানে ১২২২ নং দলিলের ৮৯.৭৫ শতক জমির মধ্যে থেকে ৩৫ শতক জমির সাবেক দাগ ৩১৪৫ এবং হাল দাগ ৪২৮৯ এর মধ্যে জমিলা খাতুনের জমি আছে ২৭ শতক এবং হান্নান মোল্যা ৪ শতক জমি ও হুমায়ুন মোল্যার ৪ শতক জমি।
জমির মালিক জমিলা খাতুন বলেন, যখন দাতা হান্নান মোল্যার জমি রেকর্ড হয়েছে মাত্র ৪ শতক তাও নিজ নামে। তাহলে গরীব হোসেন বারী মিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জমি এই খানে কোথায়। তাহলে কেন একজন বিধবা নারীকে কেন্দ্র করে, মসজিদ ও মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার মানুষকে একত্রিত করে এই সব জমি দখলের পায়তারা চলছে। তিনি আরও বলেন হান্নান মোল্যা ১৯৮৪ সালে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আমাদেরকে না জানিয়ে গোপনে ২১ শতক জমির যে দলিল করে ছিলো এটার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আমার নিজের জমির অবমুক্ত চাই ও সঠিক বিচার চাই এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।

প্রিন্ট