কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চৌধুরী বাজারের জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে মামলা দায়েরের কারণে প্রায় ১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ রয়েছে এতে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
জানাগেছে, সম্প্রতি চৌধুরী বাজারের হাট সেড নির্মাণের জন্য স্থানিয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রভাতি প্রকল্প ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরাতন হাট সেড ভেঙ্গে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করলে হাটের ৩২ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে ভূমি মালিকগণ হাটের মাঝখানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে এবং গত ৩০ মার্চ কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ (২য়) আদালতে মামলা দায়ের করে।
বিজ্ঞ আদালত কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করলেও সরকার পক্ষ যথাসময়ে জবাব প্রদান নাকরায় বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে হাটসেড নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তিতে সরকার পক্ষ আপত্তি দাখিল করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এবং গত ২৫ মে শুনানি শেষে আগামি ২৮ মে রায়ের দিন ধার্য করেন।
বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, জনগণের সুবিধার্থে ১৯৬৬ সালে চৌধুরী বাজারটি চালু করা হয় এবং তখন থেকে অদ্যাবধি নিয়মিত সরকারিভাবে হাট ইজারা প্রদান চালু এবং ইজারা লব্দ অর্থ সরকারিভাবে জমা হয়ে থাকে। যা সায়রাত (সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমি) রেজিস্টারভুক্ত রয়েছে। তিনি জানান, হাটের নামে ৮৯ শতাংশ জমি আর.এস রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে।
স্থায়ি বাসিন্দা আবু হাসেম, ইউনুছ ও জহুরুল ইসলাম জানান, মামলা মোকাদ্দমার কারণে হাট বসছে রাস্তার উপর। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। বৃষ্টিতে মালামাল ভিজে যাচ্ছে।
জমির মালিকানা দাবী কারীদের একজন ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী জানান, মালিকানা দাবীকারীদের অনেকেই এলাকায় থাকেনা তাই বিষয়টি মিমাংসা করা যাচ্ছেনা। তবে শীর্ঘই বিষয়টি মিমাংষা করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী হারুন উর রশীদ জানান, মামলা মোকাদ্দমের কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। মিমাংষা হলে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, সকল কাগজপত্র সরকারের পক্ষে হলেও তারা কেন জমি দাবী করছে তা বুঝতে পারছিনা। তাদের কাগজ পত্র চাওয়া হচ্ছে কিন্ত দেখাচ্ছেনা।
প্রিন্ট