ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক Logo নাটোরের বাগাতিপাড়া বাউয়েট এর নতুন রেজিস্ট্রার শেখ সানি মোহাম্মদ তালহা Logo বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিক নিয়ে কার্গো জাহাজডুবি Logo দ্বীপ হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’ Logo কালুখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেনের উঠান বৈঠক Logo গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo লালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ শামীম আহম্মেদ সাগর Logo ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo বোয়ালমারীতে স্বস্তির বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

-ফাইল ছবি।

তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রের।সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনের শুরুতে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। এরপর ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে দিন শেষে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৪০৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা রাজি হননি।

চলতি মে মাসের শুরুতে ডলার একবার ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ডলারের নিচে নামে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নামে। এরপর বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ ছাড় হয়ে এলে খানিক বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রি করা হলে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে আসে রিজার্ভ।

কোভিড মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। সে সময় আমদানি কমে যাওয়া ও মানুষের বিদেশ ভ্রমণ কমে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের শেষার্ধে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। কোভিড মহামারি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকে। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হলে আমদানি বৃদ্ধি পায়, মানুষের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয়। এসবের ফলে কমতে থাকে রিজার্ভ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রিজার্ভ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। যত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়, আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে রিজার্ভ। আমদানি ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার বিক্রি করার কারণে রিজার্ভে টান পড়ে। বিপরীতে যে হারে ডলারের যোগান বৃদ্ধির কথা ছিল, সেটা হয়নি।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলো কাজে আসেনি। সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়। আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি সরবারহ করে। কিন্তু তাতেও রিজার্ভের ঝুঁকি সীমা ধরে রাখা যাচ্ছে না।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু

error: Content is protected !!

রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

আপডেট টাইম : ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রের।সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনের শুরুতে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। এরপর ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে দিন শেষে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৪০৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা রাজি হননি।

চলতি মে মাসের শুরুতে ডলার একবার ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ডলারের নিচে নামে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নামে। এরপর বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ ছাড় হয়ে এলে খানিক বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রি করা হলে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে আসে রিজার্ভ।

কোভিড মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। সে সময় আমদানি কমে যাওয়া ও মানুষের বিদেশ ভ্রমণ কমে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের শেষার্ধে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। কোভিড মহামারি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকে। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হলে আমদানি বৃদ্ধি পায়, মানুষের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয়। এসবের ফলে কমতে থাকে রিজার্ভ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রিজার্ভ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। যত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়, আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে রিজার্ভ। আমদানি ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার বিক্রি করার কারণে রিজার্ভে টান পড়ে। বিপরীতে যে হারে ডলারের যোগান বৃদ্ধির কথা ছিল, সেটা হয়নি।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলো কাজে আসেনি। সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়। আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি সরবারহ করে। কিন্তু তাতেও রিজার্ভের ঝুঁকি সীমা ধরে রাখা যাচ্ছে না।