ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকা সত্বেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন একটি মিল চাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে। স্থানীয় ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মকবুল হোসেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। তার মালিকানাধীন মেসার্স মকবুল রাইচ মিল উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল বাজারে অবস্থিত।
জানা যায়, চালকল নির্বাচনের ক্ষেত্রে চাল সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ ২০১৮ এর আওতায় মিলিং লাইসেন্স ও ফুড গ্রেডিং লাইসেন্সধারী প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সম্পন্ন সচল মিল চুক্তিযোগ্য হবে।যে সব মিলে বয়লার ও চিমনী নেই সেসব হাস্কিং মিলের সাথে চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করা যাবে না। প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় হতে প্রাপ্ত সনদ থাকতে হবে।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ওই রাইচ মিলের চাতাল গত তিন বছর ধরে পরিত্যক্ত পড়ে আছে। রাইচ মিলটিও অন্যের নিকট লিজ দেয়া বলে অভিযোগ। মিলে বয়লার ও চিমনী নেই। নেই কোন ফুড গ্রেডিং লাইসেন্স।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদাম ৩৯৯৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬৬ টন ৬৫০ কেজি চাল সরবরাহের জন্য মেসার্স মকবুল রাইচ মিল চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রেজাউল আলম বলেন, ‘মেসার্স মকবুল রাইচ মিলের মালিক মকবুল হোসেন আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন তিনি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চাল সরবরাহ করবেন। ওই মালিক সব শর্ত পূরণ করে চাল সরবরাহ করতে না পারলে তার চাল নেওয়া হবে না’, বলে খাদ্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কর্মকর্তা বলেন।।
প্রিন্ট