কুষ্টিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার (২১ মে) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
নিহত ওমর আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতিপক্ষ মান্নান গাঈনকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, নিহত মিরাজ হোসেনের শ্যালক রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় প্রতিপক্ষ সাহেব আলীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় কান্তিনগর মোড়ের আরিফের দোকানে ক্যারামবোর্ড খেলার সময় এবং টিভিতে আইপিএল খেলায় বিভিন্ন বয়সী লোকজন অর্থের বিনিময়ে বাজি ধরে জুয়া খেলতো। শুক্রবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় আরিফের দোকানে একইভাবে জুয়া খেলা শুরু হলে একই গ্রামের মিরাজ আলী তাতে বাধা দেন এবং জুয়া খেলতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে মিরাজ আলীর সঙ্গে আরিফের ভাই সাহেব আলীর কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং আরিফের দোকানে ক্যারামবোর্ড এবং আইপিএল খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়ে আসে।
এরই জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবারও উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের কোপে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হন। হাসপাতালে নিলে প্রথমে ওমর আলী ও পরে মিরাজ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত আঞ্জুয়ারা খাতুন, কারিবুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মান্নান, আব্দুল মান্নান, সহিদ হোসেনসহ ৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
|
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বোয়ালদহ গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট