ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫ Logo ফরিদপুরে আ.লীগের ব্যানারে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ Logo বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন Logo শ্রমিকদল নেতাদের সহযোগীতায় জোরপূর্বক জমি দখলে শসস্ত্র হামলা Logo ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সদের একদফা দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত Logo ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক Logo মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনঃ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ সেবায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় প্রচার এখন আরো দ্রুত ঘটছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে কঠোর তদারকির ফলে জালিয়াতি ও প্রতারণা কমেছে। এতে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে এ সেবার প্রতি। ফলে প্রতি মাসে গ্রাহক যেমন বাড়ছে, তেমনি লেনদেনের সংখ্যাও বাড়ছে।

একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনে অর্থের পরিমাণও। চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যা একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এরপরের মাস সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে লেনদেন ৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা কমে ৯৭ হাজার ৩০৭ কোটির ঘরে নামে। এরপর গত মার্চে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। যা এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সর্বোচ্চ লেনদেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান- এ বছরের মার্চের দিকে মানুষ ঈদের কেনাকাটা শুরু করে। এসব কেনাকাটার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পরিশোধ করেছে। এর ফলে এই মাসে এমএফএস সেবায় রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।

অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার ১৪১টি। ফেব্রুয়ারি শেষে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩টি। গত বছরের জুন শেষে যার সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। এর মধ্যে গ্রামে ১১ কোটি ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭১ জন এবং শহরে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১২ জন গ্রাহক নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক রয়েছেন ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৫জন। অপরদিকে নারী গ্রাহক ৮ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৫৪৫জন।
এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। অর্থাৎ চলতি বছরের তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে ৭০ লাখ ২৮ হাজার ২১০টি। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার জন।

এমএফএস সেবার মাধ্যমে গত মার্চে মোট ৪৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৫টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এসময় হিসাবগুলোতে জমা পড়েছে ৩৪ হাজার ৩০৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া উত্তোলন করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনাকাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) মার্চ মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫

error: Content is protected !!

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনঃ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ সেবায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় প্রচার এখন আরো দ্রুত ঘটছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে কঠোর তদারকির ফলে জালিয়াতি ও প্রতারণা কমেছে। এতে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে এ সেবার প্রতি। ফলে প্রতি মাসে গ্রাহক যেমন বাড়ছে, তেমনি লেনদেনের সংখ্যাও বাড়ছে।

একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনে অর্থের পরিমাণও। চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যা একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এরপরের মাস সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে লেনদেন ৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা কমে ৯৭ হাজার ৩০৭ কোটির ঘরে নামে। এরপর গত মার্চে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। যা এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সর্বোচ্চ লেনদেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান- এ বছরের মার্চের দিকে মানুষ ঈদের কেনাকাটা শুরু করে। এসব কেনাকাটার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পরিশোধ করেছে। এর ফলে এই মাসে এমএফএস সেবায় রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।

অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার ১৪১টি। ফেব্রুয়ারি শেষে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩টি। গত বছরের জুন শেষে যার সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। এর মধ্যে গ্রামে ১১ কোটি ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭১ জন এবং শহরে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১২ জন গ্রাহক নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক রয়েছেন ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৫জন। অপরদিকে নারী গ্রাহক ৮ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৫৪৫জন।
এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। অর্থাৎ চলতি বছরের তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে ৭০ লাখ ২৮ হাজার ২১০টি। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার জন।

এমএফএস সেবার মাধ্যমে গত মার্চে মোট ৪৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৫টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এসময় হিসাবগুলোতে জমা পড়েছে ৩৪ হাজার ৩০৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া উত্তোলন করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনাকাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) মার্চ মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।


প্রিন্ট