ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন এর অফিস উদ্বোধন Logo বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণ অনিয়মের অভিযোগ Logo মামলার পাহাড় কমাতে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটির পদক্ষেপ Logo কুষ্টিয়ায় তামাকের গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র নিহত Logo রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা পাভেল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo নাগরপুরে সরকারি বইসহ ট্রাক জব্দ, প্রধান শিক্ষক পলাতক Logo ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে ডেকে কুপ্রস্তাব দিলেন প্রধান শিক্ষক Logo চরভদ্রাসনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে এলাকাবাসীর অভিযোগ Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক পরিবারকে একঘরে Logo সদরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আসামি গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

৩৩ ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের রক্ষায় তৎপর প্রশাসন

ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরের নড়বড়ে বাঁশের চালা দড়ি দিয়ে ভালোভাবে বাঁধা হচ্ছে। গতকাল তোলা। ছবিঃ সংগৃহীত।

অস্থায়ী শেড হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে। দুুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে এসব ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের রক্ষায় বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন। সরকারের রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত কয়েক দিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এসব রোহিঙ্গাকে রক্ষায় কাজ করছেন সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো যেহেতু সব পাহাড়ের ওপর, কাজেই এগুলো সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়বে না। এর পরও বাতাসের তীব্রতায় যেমন বস্তিগুলো লণ্ডভণ্ড হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, তেমনি ক্ষতিও হতে পারে বর্ষণজনিত পাহাড়ধসের কারণে। তাই ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টায় ক্যাম্পগুলোর সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করে দুর্যোগকালীন সময় প্রচণ্ড বাতাস এবং সম্ভাব্য পাহাড়ধস মোকাবেলার বিষয়ে ক্যাম্পগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচার চারিয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেন নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, প্রচণ্ড বাতাসের সময় উড়ে আসা টিন মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার যেসব বস্তির চালা ও বেড়া নড়বড়ে হয়েছে সেসবে রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার এবং সরকারের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যকর্মীদের জানান, সেন্ট মার্টিনসহ উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বিষয়েও ভালো গুরুত্ব্ব দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ক্ষযক্ষতি কমানোর ব্যাপারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। তাঁদের সার্বক্ষণিক কাজে লাগানো হচ্ছে।

তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ভূমিধসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজেও তাঁদের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর সঙ্গে যেসব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সম্পৃক্ত, সেসব সংস্থাকেও সমন্বয় করে আরআরআরসি কমিশনার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগকালীন কাজে লাগানো হচ্ছে।

অতিরিক্ত কমিশনার (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন) সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, নড়বড়ে বস্তির রোহিঙ্গাদের কাছাকাছি স্কুল-মাদরাসাসহ ক্যাম্পের সরকারি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের মতো পরিস্থিতি হলেও রোহিঙ্গাদের নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন এর অফিস উদ্বোধন

error: Content is protected !!

৩৩ ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের রক্ষায় তৎপর প্রশাসন

আপডেট টাইম : ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :
অস্থায়ী শেড হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে। দুুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে এসব ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের রক্ষায় বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন। সরকারের রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত কয়েক দিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এসব রোহিঙ্গাকে রক্ষায় কাজ করছেন সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো যেহেতু সব পাহাড়ের ওপর, কাজেই এগুলো সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়বে না। এর পরও বাতাসের তীব্রতায় যেমন বস্তিগুলো লণ্ডভণ্ড হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, তেমনি ক্ষতিও হতে পারে বর্ষণজনিত পাহাড়ধসের কারণে। তাই ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টায় ক্যাম্পগুলোর সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করে দুর্যোগকালীন সময় প্রচণ্ড বাতাস এবং সম্ভাব্য পাহাড়ধস মোকাবেলার বিষয়ে ক্যাম্পগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচার চারিয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেন নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, প্রচণ্ড বাতাসের সময় উড়ে আসা টিন মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার যেসব বস্তির চালা ও বেড়া নড়বড়ে হয়েছে সেসবে রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার এবং সরকারের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যকর্মীদের জানান, সেন্ট মার্টিনসহ উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বিষয়েও ভালো গুরুত্ব্ব দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ক্ষযক্ষতি কমানোর ব্যাপারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। তাঁদের সার্বক্ষণিক কাজে লাগানো হচ্ছে।

তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ভূমিধসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজেও তাঁদের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর সঙ্গে যেসব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সম্পৃক্ত, সেসব সংস্থাকেও সমন্বয় করে আরআরআরসি কমিশনার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগকালীন কাজে লাগানো হচ্ছে।

অতিরিক্ত কমিশনার (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন) সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, নড়বড়ে বস্তির রোহিঙ্গাদের কাছাকাছি স্কুল-মাদরাসাসহ ক্যাম্পের সরকারি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের মতো পরিস্থিতি হলেও রোহিঙ্গাদের নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা রয়েছে।


প্রিন্ট