লিভার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুস্থ থাকতে লিভারের খেয়াল রাখতেই হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিভার খারাপ হওয়ার কারণ হয় কিছু বদঅভ্যাস। জেনে নিন লিভার সুস্থ রাখার ৯টি সহজ নিয়ম।
লো ফ্যাট ফুডে ‘না’ : ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত মদ পান, তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত ঠিকই। তবে লো ফ্যাট ফুড হতে সাবধান। সুপার মার্কেটে গিয়ে লো ফ্যাট বা ৯৯ শতাংশ লোয়ার ইন ফ্যাট লেখা ফুড কেনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। এসব খাবার থেকে ফ্যাট বাদ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ধরে রাখতে যোগ করা হয় প্রচুর পরিমাণ চিনি। এতে লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
স্ট্রেস থাকলে খাবেন না : বোর হলে, এনার্জি কম লাগলে কী করি আমরা? অনেকেই এই সময় খাবার খেয়ে মুড ঠিক করতে চান। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে স্ট্রেসের সময় খাবার ছোঁবেন না। এ সময় হজম ঠিকমতো হয় না।
সাপ্লিমেন্ট :প্রোটিন বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। এমন সাপ্লিমেন্ট বাছুন, যা লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স, ভিটামিন ‘সি’ লিভার পরিস্কার রাখে। প্রোটিনের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো এসিডও লিভার পরিস্কার রাখার জন্য ভালো। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ওষুধ থেকে সাবধান :বেশ কিছু ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। এসব ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। কিছু পেইনকিলার বা কোলেস্টেরলের ওষুধ লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে।
কফি :চা, কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হয়- এই কথাটা কতবার শুনেছেন? কফি খাওয়ার কিন্তু অনেক সুফল রয়েছে। গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত কফি খেলে লিভারের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়।
টক্সিন :ত্বকে বিষক্রিয়া লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ত্বকের মাধ্যমে বিষ রক্তে শোষিত হয়। তাই স্প্রে ও টক্সিন থেকে দূরে থাকুন।
প্লান্ট প্রোটিন :লিভার সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি জরুরি সঠিক খাবার বাছা। অ্যানিম্যাল প্রোটিন থেকে লিভারের জন্য বেশি ভালো প্লান্ট প্রোটিন। ডাল, সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ফাইবার খান।
ইজি বুজিং :অ্যালকোহল লিভারে টক্সিন জমা করে। ফলে অতিরিক্ত মদ পান লিভারের ক্ষতি করে। তবে হালকা অ্যালকোহল শরীরের পক্ষে ভালো।
হেলদি ফ্যাট : ফ্যাট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে ফ্যাট ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না। হেলদি ফ্যাট খান। অলিভ ও ওয়ালনাট জাতীয় খাবারে হেলদি ফ্যাট থাকে।
প্রিন্ট