উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি পালনে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (০১ মে) দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে ক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে মে দিবস উপলক্ষ্যে প্রয়াত সকল শ্রমিক এবং পাবনা প্রেসক্লাবের প্রয়াত সকল সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ।
সভায় বক্তারা আগামীতে প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বড় পরিসরে জাঁকজমকপূর্নভাবে আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেইসাথে সকল সদস্যদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বপূর্ন পরিবেশ বজায় রেখে প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য ধরে রাখার আহবান জানানো হয়।
শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটায় অংশ নেন প্রেসক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ১ মে পাবনা শহরে পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাাহাবুদ্দিন চুপ্পু, প্রয়াত ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী, স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু পাবনা প্রেসক্লাবের সম্মানিত আজীবন সদস্য।
প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার একই বছরের ৮ ও ৯ মে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন। যে সভা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি। যা বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। সে সম্মেলনের মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা পেশার স্বীকৃতি তথা রিটেইনার, লাইনেজ, পোস্টাল চার্জ, টেলিগ্রাম চার্জ, ছবির বিলসহ অন্যান্য খরচ পাওয়া শুরু করেন। পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই সেদিন সংবাদপত্রে মফস্বলে কর্মরত প্রতিনিধিদের পেশার স্বীকৃতি ঘটেছিল।
পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার পর এ কে এম আজিজুল হক পাবনা প্রেসক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং রণেশ মৈত্র প্রথম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রিন্ট