নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রোববার ঢাকায় পৌঁছেছেন। তিনি বাংলাদেশে বিদায়ি ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। সারাহ কুক বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসাবে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়াও, অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার মতো বিষয়ে আমরা একত্রে কাজ করে থাকি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এই লক্ষ্যে আমাদের সহযোগিতা এগিয়ে যাবে।
মিজ কুক ২০১২-২০১৬ সালে বাংলাদেশে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইড) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ছিলেন। অতিসম্প্রতি তিনি ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দপ্তরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান (২০২০-২০২৩) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে ২০১৬-২০২০ সালে তিনি তানজানিয়ায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মিজ কুক ২০০৫ সালে ডিএফআইডিতে যোগদান করেন। ওই সময়ে তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং কার্যকর সাহায্য প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নীতির প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আফ্রিকা সেক্রেটারিয়েটে ডেপুটি হেড অব কমিশন এবং ক্যাবিনেটে প্রধানমন্ত্রীর কৌশলগত ইউনিটে উপপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্যের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পূর্বে মিজ কুক গায়ানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এবং সলমন দ্বীপপুঞ্জে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি প্রাইস ওয়াটার হাউজ কোপার্সে অর্থনৈতিক পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রিন্ট