ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফ’র ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশঃ -প্রধানমন্ত্রী

-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে হোটেল রিজ কার্লটনে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা সাক্ষাৎ করেন -পিআইডি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। আইএমএফ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। শনিবার বিকালে ওয়াশিংটন ডিসির দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সোমবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন একদিনে হয়নি। বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল। দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকেও তিনি অবহিত করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফ’র ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা আশা করেন-ভবিষ্যতেও সংস্থাটি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন অর্জন করেছে। সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুসংযোগ স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে তিনি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফ’র কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’ আর আইএমএফ’র এমডির বক্তব্য উদ্ধৃত করে ড. মোমেন বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে)। কারণ, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।

ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফ’র সঙ্গে কাজ করছে। যা বাংলাদেশ মাত্র ২ সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে। যদিও অনেক দেশ বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না। আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, আইএমএফ ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ব্রিফিংকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফ’র ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশঃ -প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। আইএমএফ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। শনিবার বিকালে ওয়াশিংটন ডিসির দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সোমবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন একদিনে হয়নি। বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল। দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকেও তিনি অবহিত করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফ’র ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা আশা করেন-ভবিষ্যতেও সংস্থাটি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন অর্জন করেছে। সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুসংযোগ স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে তিনি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফ’র কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’ আর আইএমএফ’র এমডির বক্তব্য উদ্ধৃত করে ড. মোমেন বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে)। কারণ, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।

ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফ’র সঙ্গে কাজ করছে। যা বাংলাদেশ মাত্র ২ সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে। যদিও অনেক দেশ বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না। আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, আইএমএফ ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ব্রিফিংকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।