ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক

বিএনপি রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র আলফাডাঙ্গার আল-আমিন

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার যোগীবরাট গ্রামের কৃতি সন্তান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিপ্লবী সহ সভাপতি, শহীদ জিয়ার আদর্শের ত্যাগী ও পরিক্ষিত সৈনিক এস.এম আল-আমিন (সোহাগ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল সংগঠনটির এই নতুন কমিটি ঘোষণা করে দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। আল-আমিনের এই পদ প্রাপ্তিতে তার এলাকার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা,বন্ধু-সহৃদ-শুভাকাঙ্খী মহলে ব্যাপক আনন্দ,উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বইছে তাঁকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানোর।

সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী সরাসরি তাঁকে ফুলেল অভ্যার্থনা জানাচ্ছেন। নিচে এস.এম আল আমিন সোহাগের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরা হলো-

এস.এম. আল-আমীন ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার যোগীবরাট গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এস.এম.ফরিদ আহমেদ এবং মাতার নাম রেবেকা সূলতানা। তার পিতা একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন।

তিনি চরনারানদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে এস.এস.সি এবং ২০০৩ সালে কাদিরদী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে তিনি ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

মূলতঃ ২০০০ সাল থেকেই তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে আকৃষ্ট হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে স্হানীয় ভাবেই জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্র রাজনীতি কালীন সময়ে তিনি দলীয় সকল আন্দোলন -কর্মসূচীর পাশাপাশি ছাত্রদের দাবি আদায়ের সকল আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন।

তিনি ২০১৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিলে প্রাথমিকভাবে তিনি সভাপতি প্রার্থী হন। ১/১১ এর সরকার হঠাতে ও তিনি ঢাকার রাজপথে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আন্দোলন সংগ্রামে ও তিনি সামনে থেকে অংশগ্রহণ করেন এবং সাহসী ভূমিকা রাখেন।

তিনি একাধারে এই ২২/২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বহু হামলা-মামলার শিকার হন এবং একাধিকবার জেল খাটেন। তবুও তিনি এই দীর্ঘ সময়ে এক মুহূর্তের জন্যও রাজপথ ছেড়ে দূরে থাকেন নি। বর্তমানেও তিনি চলমান আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথেই সরব রয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল নবগঠিত বি.এন.পির অন্যতম অংগ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে তিনি সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। তার এই পদ প্রাপ্তিতে অত্র এলাকার জাতীয়তাবাদী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং আজীবন সুখে -দুঃখে এই এলাকার মানুষ ও জাতীয়তাবাদী দলের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

লালপুরে স্কুলে টিফিনের ফাঁকে গাঁজা বিক্রিকালে মাদক ব্যবসায়ী আটক

error: Content is protected !!

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক

বিএনপি রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র আলফাডাঙ্গার আল-আমিন

আপডেট টাইম : ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্কঃ :

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার যোগীবরাট গ্রামের কৃতি সন্তান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিপ্লবী সহ সভাপতি, শহীদ জিয়ার আদর্শের ত্যাগী ও পরিক্ষিত সৈনিক এস.এম আল-আমিন (সোহাগ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল সংগঠনটির এই নতুন কমিটি ঘোষণা করে দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। আল-আমিনের এই পদ প্রাপ্তিতে তার এলাকার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা,বন্ধু-সহৃদ-শুভাকাঙ্খী মহলে ব্যাপক আনন্দ,উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বইছে তাঁকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানোর।

সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী সরাসরি তাঁকে ফুলেল অভ্যার্থনা জানাচ্ছেন। নিচে এস.এম আল আমিন সোহাগের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরা হলো-

এস.এম. আল-আমীন ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার যোগীবরাট গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এস.এম.ফরিদ আহমেদ এবং মাতার নাম রেবেকা সূলতানা। তার পিতা একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন।

তিনি চরনারানদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে এস.এস.সি এবং ২০০৩ সালে কাদিরদী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে তিনি ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

মূলতঃ ২০০০ সাল থেকেই তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে আকৃষ্ট হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে স্হানীয় ভাবেই জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্র রাজনীতি কালীন সময়ে তিনি দলীয় সকল আন্দোলন -কর্মসূচীর পাশাপাশি ছাত্রদের দাবি আদায়ের সকল আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন।

তিনি ২০১৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিলে প্রাথমিকভাবে তিনি সভাপতি প্রার্থী হন। ১/১১ এর সরকার হঠাতে ও তিনি ঢাকার রাজপথে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আন্দোলন সংগ্রামে ও তিনি সামনে থেকে অংশগ্রহণ করেন এবং সাহসী ভূমিকা রাখেন।

তিনি একাধারে এই ২২/২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বহু হামলা-মামলার শিকার হন এবং একাধিকবার জেল খাটেন। তবুও তিনি এই দীর্ঘ সময়ে এক মুহূর্তের জন্যও রাজপথ ছেড়ে দূরে থাকেন নি। বর্তমানেও তিনি চলমান আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথেই সরব রয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল নবগঠিত বি.এন.পির অন্যতম অংগ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে তিনি সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। তার এই পদ প্রাপ্তিতে অত্র এলাকার জাতীয়তাবাদী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং আজীবন সুখে -দুঃখে এই এলাকার মানুষ ও জাতীয়তাবাদী দলের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


প্রিন্ট