মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী (বিল্বপাড়া) গ্রামের এ বি এম গোলাম হোসেন (৭৪) একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাসে তাকে দেওয়া হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব। মুক্তিযোদ্ধা এবিএম গোলাম হোসেন এর পিতার নাম মৃত আলহাজ্ব আঃ আলেক মোল্লা, মাতার নাম মৃত আয়ামানা খাতুন।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্রে যুদ্ধকালীন (বিএলএফ) মুজিব বাহিনী থানা কমান্ডার মহম্মদপুর মোঃ গোলাম আকবর হোসেন ২০১১ সালের ১ জুলাই তারিখে প্রত্যয়ন করেন কৈশোর বয়সে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমার আওতাধীন পলাশবাড়ীয়া মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে ১ মাস যাবত বিভিন্ন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মহম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন এবং কমান্ডার গোলাম আকবর হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা রের্স কোর্স ময়দানে তার ব্যবহৃত হাতিয়ার জমা করেন।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে মাগুরা-২ সংসদ সদস্য ডঃ শ্রী বীরেন শিকদার বলেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা ২৪১ নং ক্রমিকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মোঃ আতাউল গণি ওসমানী কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র তার নিকট গচ্ছিত আছে। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই মাগুরা-১ সংসদ সদস্য ডাঃ এম এস আকবর বলেন মুক্তিযুদ্ধের সূচক তালিকায় মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা ২৪১ নং ক্রমিকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত আছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মোঃ আতাউল গনি ওসমানী কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র তার নিকট গচ্ছিত আছে।
২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী তারিখে মাগুরা জেলা ইউনিট কমান্ডার মোল্লা নবুয়াত আলী প্রত্যয়ন করেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় ২৪১ নং ক্রমিকে এবিএম গোলাম হোসেনের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে। ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে মহম্মদপুর উপজেলা কমান্ডার মোঃ আলী রেজা খোকন প্রত্যয়ন করেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় ২৪১ নং ক্রমিকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত আছে। ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী তারিখে নহাটা ইউনিয়ন কমান্ডার মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রত্যয়নপত্র মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার ২৪১ নং ক্রমিকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত আছে।
দেশে যুদ্ধ শুরু হলে গোলাম হোসেন দেশ মাতৃকার টানে বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। এই বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলার ৩ জন গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধা উথলী গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান গেজেট নং ১২১৯, মান্দারবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ গেজেট নং ১৩৬৪, মহেশপুর গ্রামের মোঃ আরজ ফকির গেজেট নং ১২০৩ এরা প্রত্যয়ন করেন এবিএম গোলাম হোসেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমাদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।
২০১৪ সালের ২১ জুন তারিখে এবিএম গোলাম হোসেনের ডি.জি নং ১৫৩৪৯৮ এবং তার স্ত্রী হালিমা খাতুন, পুত্র ও কন্যাদের একটাই চাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে মৃত্যুর আগে যেন প্রকৃত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পান এ বি এম গোলাম হোসেন।
প্রিন্ট