ঢাকা , রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফেরত দিতে হলো উপহারের ট্যাব!

-ছবিঃ প্রতীকী।

অবশেষে ফেরত দিতে হলো উপহারের ট্যাব। উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট অভিযোগের পর ট্যাব ফেরত দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফম হাসান জানান, নিয়ম মাফিক বিতরণ না করায় প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ট্যাব ফেরত নিয়ে যার প্রাপ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে।

নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মাহীর পিতা আব্দুল বারী জানান,অভিযোগের পর তার মেয়েকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীতে পডুয়া ৩০৬ জন শিক্ষার্থীকে জনশুমারী ও গৃহগননা প্রকল্প’ ২০২১ এর ট্যাব প্রদান করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যারা ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড- তাদের দেওয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়ম না মেনে থার্ড- এর পরিবর্তে চতুর্থ রোল নম্বর শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়। উপজেলার দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-তেপুকুরিয়া ও অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

এসব বিষয় নিয়ে দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার অনলাইন গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মাহীর পিতা আব্দুল বারী উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান, তার মেয়ের রোল নম্বর-৩। তার মেয়েকে বাদ দিয়ে রোল নম্বর ৪এর শিক্ষার্থী নিশাত নাওয়াল প্রভাকে দেওয়া হয়েছে।

একই ভাবে অনিয়ম করে অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে রোল নম্বর-৩ এর পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাবিয়া আখতার বর্ষার পিতা বাবলু ইসলাম বলেন, রোল নম্বর ৩ এর শিক্ষার্থী জুই খাতুন অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলে গিয়ে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। যার কারনে তার মেয়ের নাম ৩ নম্বরে তালিকাভূক্ত করে ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সামনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারি জেসমিন খাতুনকে ট্যাব দেওয়া হয়। আমার মেয়ে রাবিয়া আখতার বর্ষার রোল নম্বর-৪। পরে বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, রোল নম্বর ৩ এর শিক্ষার্থী জুই খাতুন অন্যত্র ভর্তি হওয়ার কারণে গরীব ছাত্রী হিসেবে জেসমিন খাতুনকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ফেরত দিতে হলো উপহারের ট্যাব!

আপডেট টাইম : ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

অবশেষে ফেরত দিতে হলো উপহারের ট্যাব। উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট অভিযোগের পর ট্যাব ফেরত দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফম হাসান জানান, নিয়ম মাফিক বিতরণ না করায় প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ট্যাব ফেরত নিয়ে যার প্রাপ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে।

নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মাহীর পিতা আব্দুল বারী জানান,অভিযোগের পর তার মেয়েকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীতে পডুয়া ৩০৬ জন শিক্ষার্থীকে জনশুমারী ও গৃহগননা প্রকল্প’ ২০২১ এর ট্যাব প্রদান করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যারা ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড- তাদের দেওয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়ম না মেনে থার্ড- এর পরিবর্তে চতুর্থ রোল নম্বর শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়। উপজেলার দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-তেপুকুরিয়া ও অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

এসব বিষয় নিয়ে দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার অনলাইন গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মাহীর পিতা আব্দুল বারী উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান, তার মেয়ের রোল নম্বর-৩। তার মেয়েকে বাদ দিয়ে রোল নম্বর ৪এর শিক্ষার্থী নিশাত নাওয়াল প্রভাকে দেওয়া হয়েছে।

একই ভাবে অনিয়ম করে অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে রোল নম্বর-৩ এর পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাবিয়া আখতার বর্ষার পিতা বাবলু ইসলাম বলেন, রোল নম্বর ৩ এর শিক্ষার্থী জুই খাতুন অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলে গিয়ে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। যার কারনে তার মেয়ের নাম ৩ নম্বরে তালিকাভূক্ত করে ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সামনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারি জেসমিন খাতুনকে ট্যাব দেওয়া হয়। আমার মেয়ে রাবিয়া আখতার বর্ষার রোল নম্বর-৪। পরে বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, রোল নম্বর ৩ এর শিক্ষার্থী জুই খাতুন অন্যত্র ভর্তি হওয়ার কারণে গরীব ছাত্রী হিসেবে জেসমিন খাতুনকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট