রাজশাহীর বাঘায় শিক্ষার্থীদের ট্যাবলেট (ট্যাব) বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তেপুকুরিয়া ও অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থী অভিভাবক এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, গত শনিবার (১৫ এপ্রিল ) উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৩০৬ জন শিক্ষার্থীকে জনশুমারী ও গৃহগননা প্রকল্প’২০২১ এর ট্যাবলেট (ট্যাব) প্রদান করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যাদের রোল নম্বর ১ থেকে ৩, তাদের ট্যাবলেট (ট্যাব) পাওয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়ম মানা হয়নি। রোল নম্বর ৩ এর পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে রোল নম্বর ৪ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীকে।

তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মাহীর পিতা আব্দুল বারী জানান, তার মেয়ের রোল নম্বর-৩।তার মেয়েকে বাদ দিয়ে রোল নম্বর ৪এর শিক্ষার্থী নিশাত নাওয়াল প্রভাকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
একই ভাবে অনিয়ম করে অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে রোল নম্বর-৩ এর পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাবিয়া আখতার বর্ষার পিতা বাবলু ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের রোল নম্বর-৪। রোল নম্বর ৩ এর শিক্ষার্থী জুই খাতুন অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলে গিয়ে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। যার কারনে তার মেয়ের নাম ৩ নম্বরে তালিকাভূক্ত করে ট্যাবলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সামনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন কারি জেসমিন খাতুনকে ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে।
এর সত্যতা স্বীকার করে অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, রোল নম্বর ৩ এর শিক্ষার্থী জুই খাতুন এর পরিবর্তে গরীব ছাত্রী হিসেবে জেসমিন খাতুনকে ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি রাজশাহীর বাসায় আছি, রেজিষ্ট্রার না দেখে বলতে পারছিনা, ৩নম্বর রোল এর পরিবর্তে ৪ নম্বর রোল ধারিকে দেওয়া হয়েছে কিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফম হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষককে ডাকা হয়েছে। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে,তাহলে নিয়ম মাফিক যার প্রাপ্রতা সেই পাবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। নিয়ম মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট