মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের রাঘবদাইড় (দক্ষিণ পূর্বপাড়া) গ্রামের মেহগনির বাগান থেকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের। গত বুধবার ১২ এপ্রিল রাত অনুমান ৩ টার সময় ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ মোল্লার মেহগনি বাগান থেকে ২০-৩০ বছরের অধিক বয়সী গাছ গুলো কেটে নিয়ে যায়।
সরেজমিনে সোমবার ১৭ এপ্রিল দুপুর ১ টার সময় মেহগনির বাগানে গিয়ে দেখা যায় অর্ধশতাধিক গাছের গুড়ি এখনো পড়ে আছে। ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ মোল্লা (৪০), পিং- ছব্দাল মোল্লা, সাং- রাঘবদাইড় জানান এই মেহগনি গাছের বাগান আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু হঠাৎ বেশ কয়েক বছর পূর্ব থেকে রাঘবদাইড় গ্রামের মোজাহার মোল্লার ছেলে লতিফ মোল্লা (৩৫) ও আনিসুর রহমানের ছেলে আকমল (৪০) জমি দখলের চেষ্টা ও পায়তারা করলে মাগুরা আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নোটিশ জারী হয়।
কিন্তু হঠাৎ করেই তারা রাতের আধারে দূর্বৃত্তরা গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে যার মাটিতে গাছের গুড়ি ও বড় বড় ডালপালা এখনও পড়ে আছে।
রাঘবদাইড় গ্রামের ববিতা খাতুন বলেন ১০ জন মহিলাসহ প্রায় ৩০ জন মহিলা ও পুরুষ দিয়ে লোকজন এসে ছিলো গাছ কাটার জন্য। হাসিনা খাতুন বলেন মহিলাদের মধ্যে ভেন্না খাতুন, চান্দ আলীর ছেলে সিরাজ, রিপন, স্বপন,আকমল, খায়রুল, ছাকো সহ আরও অনেকে ছিলো।
মোক্তাদুর রহমান বলেন মাগুরা জজ কোর্টে এই জমি নিয়ে মামলা চলমান অবস্থায় আছে এরপরও আদালতকে অমান্য করে রাতের আধারে লাটা গাড়ি নিয়ে এসে করাত ও কুরালের দ্বারা প্রায় ৩০ জনের অধিক লোক মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায় তার মধ্যে ছিলো দুল্লাপ, লতিফ মোল্লা, আখরুল সহ আরও ২৭ জন লোকজন।
রাঘবদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বাবুল ফকির বলেন আমি ভারতে গিয়ে ছিলাম বেড়াতে, এই জমিতে মাগুরা জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, আমার অনুপস্থিতিতেই লতিফ ও আকমলের যোগসাজশে বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন গাছ কাটার বিষয় নিয়ে মাগুরা সদর থানা ও আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার এই বিষয়েয় বিবাদী পক্ষ লতিফ ও আকমলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
প্রিন্ট