ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলফাডাঙ্গায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি Logo সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু Logo বাগেরহাট জেলা শ্রমীক লীগের সাধারন সম্পাদক মনির বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটক Logo খোকসায় এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে কেস্ট ও সনদপত্র বিতরন Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল Logo ভেড়ামারায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ Logo দৌলতপুরের একই পরিবারের চারজনের একসঙ্গে জানাজা, পাশাপাশি দাফন Logo ভূরুঙ্গামারীতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত Logo ডাক্তার হয়ে মানুসের সেবা করতে চায় আলফাডাঙ্গার তাসমিন ইসলাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্য আদালতে মামলা

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কয়রা ছারা নাসির আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।নিয়োগ বানিজ্য করে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ গং হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। আবার কয়েকজনকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলেও টাকা পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ না পেয়ে সভাপতি-অধ্যক্ষ গং দ্বারা প্রতারিত হয়ে ভুক্তভোগি এক চাকুরি প্রার্থী পাবনা কগনাইজিং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
 অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদের চাকুরি প্রার্থী ভুক্তভোগি ও ওই মামলার বাদী হলেন কয়রা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মোঃ সুরুজ্জামান।
 মামলার বিবাদী মাদ্রাসার সভাপতি কয়রা গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে আঃ হাই, দাতা সদস্য কয়রা গ্রামের মোকতার হোসেনের ছেলে মোঃ আবুল কাশেম ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড় বিশাকোল গ্রামের মৃত জয়নাল মোল্লার ছেলে আনছার আলী।
মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আবেদন করেন। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সভাপতি, দাতা সদস্য ও অধ্যক্ষ তাকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ১০ লাখ টাকা নেন।
গত ২৫/০৩/২০২৩ ইং তারিখে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার দিন ধার্য করে ইন্টারভিউ কার্ড পাঠানো হয় চাকুরি প্রার্থীদের কাছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নির্ধারিত দিনে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে ০১/০৪/২০২৩ ইং তারিখে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
 কিন্তু বিবাদী গং সুরুজ্জামনকে মনোনীত না করে মোটা টাকার বিনিময়ে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে চাকুরি দেন। এ ঘটনার পর সুরুজ্জামান গত ২/৪/২০২৩ ইং তারিখে বিবাদীদের কাছে ১০ লাখ টাকা ফেরত চান। কিন্তু বিবাদী ৩ জন টাকা ফেরত দিতে সম্পূর্ণরুপে অস্বীকৃতি জানান। নিরুপায় হয়ে চাকুরি প্রার্থী সুরুজ্জামান আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ৬ এপ্রিল কংরা গ্রামে সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গেলে এলাকাবাসী মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য মোঃ ইউনুস আলী, আলহাজ সেকেন্দার আলী, লুৎফর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ মোশারফ হোসেনসহ অন্যরা জানান, শুধু এবারই নয়, ইতোপূর্বেও নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে মাদ্রাসায় নিয়োগ দিয়ে সভাপতি-অধ্যক্ষ গং লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকাবাসী নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনসার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। অভিযোগকারীর সাথে তার কখনও কথা হয়নি।
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আঃ হাই বললেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। সুরুজ্জামানের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা গ্রহণ করা হয়নি। স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলফাডাঙ্গায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

error: Content is protected !!

মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্য আদালতে মামলা

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কয়রা ছারা নাসির আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।নিয়োগ বানিজ্য করে মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ গং হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। আবার কয়েকজনকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলেও টাকা পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ না পেয়ে সভাপতি-অধ্যক্ষ গং দ্বারা প্রতারিত হয়ে ভুক্তভোগি এক চাকুরি প্রার্থী পাবনা কগনাইজিং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
 অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদের চাকুরি প্রার্থী ভুক্তভোগি ও ওই মামলার বাদী হলেন কয়রা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মোঃ সুরুজ্জামান।
 মামলার বিবাদী মাদ্রাসার সভাপতি কয়রা গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে আঃ হাই, দাতা সদস্য কয়রা গ্রামের মোকতার হোসেনের ছেলে মোঃ আবুল কাশেম ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড় বিশাকোল গ্রামের মৃত জয়নাল মোল্লার ছেলে আনছার আলী।
মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আবেদন করেন। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সভাপতি, দাতা সদস্য ও অধ্যক্ষ তাকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ১০ লাখ টাকা নেন।
গত ২৫/০৩/২০২৩ ইং তারিখে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার দিন ধার্য করে ইন্টারভিউ কার্ড পাঠানো হয় চাকুরি প্রার্থীদের কাছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নির্ধারিত দিনে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে ০১/০৪/২০২৩ ইং তারিখে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
 কিন্তু বিবাদী গং সুরুজ্জামনকে মনোনীত না করে মোটা টাকার বিনিময়ে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে চাকুরি দেন। এ ঘটনার পর সুরুজ্জামান গত ২/৪/২০২৩ ইং তারিখে বিবাদীদের কাছে ১০ লাখ টাকা ফেরত চান। কিন্তু বিবাদী ৩ জন টাকা ফেরত দিতে সম্পূর্ণরুপে অস্বীকৃতি জানান। নিরুপায় হয়ে চাকুরি প্রার্থী সুরুজ্জামান আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ৬ এপ্রিল কংরা গ্রামে সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গেলে এলাকাবাসী মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য মোঃ ইউনুস আলী, আলহাজ সেকেন্দার আলী, লুৎফর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ মোশারফ হোসেনসহ অন্যরা জানান, শুধু এবারই নয়, ইতোপূর্বেও নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে মাদ্রাসায় নিয়োগ দিয়ে সভাপতি-অধ্যক্ষ গং লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকাবাসী নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনসার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। অভিযোগকারীর সাথে তার কখনও কথা হয়নি।
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আঃ হাই বললেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। সুরুজ্জামানের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা গ্রহণ করা হয়নি। স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

প্রিন্ট