ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চরভদ্রাসনে কাজ না করে প্রকল্পর প্রায় সবটাকা গিলেছে কুব্বাত মেম্বার

-অভিযুক্ত শেখ কুব্বাত আলী মেম্বার।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ কুব্বাত আলী এ বছর জলমহল খাত থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত টাকার একটি প্রকল্পর সমুদয় অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক’দিন আগে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উপজেলার জলমহল খাতে বরাদ্দ প্রদানকৃত প্রকল্পগুলো হরিলুটের অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ওই মেম্বারকে নিয়ে এলাকায় প্রকল্প লোপাট কেলেংকারীর ঝড় বইছে।

জানা যায়, উপজেলা সদরে ৩ নং চরভদ্রাসন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রাম্য জনপথগুলো অবহেলিত ও বেশীরভাগ মেঠোপথ বেষ্টিত এলাকা। তাই এ বছর জলমহল প্রকল্প বরাদ্দ প্রদানকালে আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের অবহেলিত জনপথগুলোর উপর দিয়ে কাঁচা রাস্তা নির্মান প্রকল্প বরাদ্দ দেন চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদ। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শেখ কুব্বাত আলীকে প্রকল্প বাস্তবায়ন সভাপতি করে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পর আওতায় ওই গ্রামের সোনা উল্লাহর বাড়ী হতে আব্দুলের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি. নিচুমানের কাঁচা রাস্তা নির্মান শর্ত রয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে ওই ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়, কাগজ কলমের নির্ধারিত প্রকল্প এলাকার কোনো কোনো স্থানে পুরাতন রাস্তার উপর দিয়ে কয়েক ঝাঁকা করে মাটি ফেলে রেখে ইউপি সদস্য শেখ কুব্বাত আলী প্রকল্প বরাদ্দকৃত প্রায় সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ পড়ে রয়েছে। ওই গ্রামের কাঁচা রাস্তা নির্মান প্রকল্পর মধ্যে আব্দুলের বাড়ীর সামনে ফসলী মাঠের ঢাল এলাকায় মাত্র অর্ধহাত উঁচু করে ১০০ মিটার রাস্তায় কাঁচা মাটি ফেলে রেখে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে।

এ ব্যপারে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সভাপতি ইউপি সদস্য শেখ কুব্বাত আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ দাদা আমি তিমুন, দুই তিন জায়গায় মাটি ফেলায়ছি, অনেক মেম্বার আছে যারা তাও করে নাই”।

এ ব্যপারে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বহুবার চেষ্টা করলেও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোন রিসিপ করেন নাই”।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা জানান, “ আমার বদলি হয়েছে, তবুও যে সময়টুকু আছি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো”।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

চরভদ্রাসনে কাজ না করে প্রকল্পর প্রায় সবটাকা গিলেছে কুব্বাত মেম্বার

আপডেট টাইম : ০৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
মোঃ আসলাম বেপারী, স্টাফ রিপোর্টার, চরভদ্রাসন :

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ কুব্বাত আলী এ বছর জলমহল খাত থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত টাকার একটি প্রকল্পর সমুদয় অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক’দিন আগে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উপজেলার জলমহল খাতে বরাদ্দ প্রদানকৃত প্রকল্পগুলো হরিলুটের অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ওই মেম্বারকে নিয়ে এলাকায় প্রকল্প লোপাট কেলেংকারীর ঝড় বইছে।

জানা যায়, উপজেলা সদরে ৩ নং চরভদ্রাসন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রাম্য জনপথগুলো অবহেলিত ও বেশীরভাগ মেঠোপথ বেষ্টিত এলাকা। তাই এ বছর জলমহল প্রকল্প বরাদ্দ প্রদানকালে আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের অবহেলিত জনপথগুলোর উপর দিয়ে কাঁচা রাস্তা নির্মান প্রকল্প বরাদ্দ দেন চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদ। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শেখ কুব্বাত আলীকে প্রকল্প বাস্তবায়ন সভাপতি করে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পর আওতায় ওই গ্রামের সোনা উল্লাহর বাড়ী হতে আব্দুলের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি. নিচুমানের কাঁচা রাস্তা নির্মান শর্ত রয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে ওই ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়, কাগজ কলমের নির্ধারিত প্রকল্প এলাকার কোনো কোনো স্থানে পুরাতন রাস্তার উপর দিয়ে কয়েক ঝাঁকা করে মাটি ফেলে রেখে ইউপি সদস্য শেখ কুব্বাত আলী প্রকল্প বরাদ্দকৃত প্রায় সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ পড়ে রয়েছে। ওই গ্রামের কাঁচা রাস্তা নির্মান প্রকল্পর মধ্যে আব্দুলের বাড়ীর সামনে ফসলী মাঠের ঢাল এলাকায় মাত্র অর্ধহাত উঁচু করে ১০০ মিটার রাস্তায় কাঁচা মাটি ফেলে রেখে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে।

এ ব্যপারে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সভাপতি ইউপি সদস্য শেখ কুব্বাত আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ দাদা আমি তিমুন, দুই তিন জায়গায় মাটি ফেলায়ছি, অনেক মেম্বার আছে যারা তাও করে নাই”।

এ ব্যপারে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বহুবার চেষ্টা করলেও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোন রিসিপ করেন নাই”।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা জানান, “ আমার বদলি হয়েছে, তবুও যে সময়টুকু আছি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো”।


প্রিন্ট