ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সিরাজগঞ্জে ২ দিনব্যাপী দেশি হাঁস-মুরগী পালন বিষয়ক অনাবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন Logo ঘন কুয়াশায় ২ ট্রাকের সংঘর্ষের পর আরও ৪ ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১ Logo দুদকের মামলার আসামি হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের অসাধু চক্র Logo যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা বেশিরভাগই নারীঃ মুকসুদপুরে জমে উঠেছে ‘বৌ বাজার’ Logo শুকিয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ Logo ফরিদপুরে ‌ডিবি পুলিশের অভিযানে দুই কেজি গাঁজা সহ একজন গ্রেফতার Logo খোকসায় ৫ জন অসহায় প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ Logo খোকসায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo দীঘিনালায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo আমিরাতে বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস এসোসিয়েশনের বিজয় দিবস পালন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কনস্টেবলের ২ বছরের কারাদণ্ড

পাবনায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুর একটায় পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোঃ শামসুল আলামীন এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত সোহেল রানা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ওয়াদুদ হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নং ২৯৫৪৬। মামলার বাদি সোহেল রানার স্ত্রী জালেকা খাতুন একই উপজেলার দারামুদা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোহেল রানার সাথে জালেকা খাতুনের বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। এর এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট গর্ভজাত শিশু সন্তানসহ স্ত্রী জালেকা খাতুনকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন সোহেল। এরপর বাবার বাড়িতে থাকলেও স্ত্রী-সন্তানের কোনো খোঁজ নেননি তিনি। ওই বছরের ৭ অক্টোবর জালেকা খাতুনকে নিয়ে তার স্বজনরা সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে তাকে মেনে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সোহেল ৫ লাখ টাকা না দিলে জালেকাকে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দেন।

পরে  ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি জালেকা খাতুন বাদি হয়ে (১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায়) পাবনা আমলী আদালত-৩ এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাঁথিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা পারভীনকে নির্দেশ দেন। তিনি ওই বছরের ১৪ মার্চ তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং ২৮। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে একই বছরের ১২ এপ্রিল আসামী সোহেল রানার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এরপর সমনে হাজির হয়ে আদালতে থেকে জামিন নেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল।

দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) উল্লেখিত সাজার আদেশ দেন। এ সময় আসামী সোহেল রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জে ২ দিনব্যাপী দেশি হাঁস-মুরগী পালন বিষয়ক অনাবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

error: Content is protected !!

স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কনস্টেবলের ২ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :

পাবনায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুর একটায় পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোঃ শামসুল আলামীন এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত সোহেল রানা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ওয়াদুদ হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নং ২৯৫৪৬। মামলার বাদি সোহেল রানার স্ত্রী জালেকা খাতুন একই উপজেলার দারামুদা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোহেল রানার সাথে জালেকা খাতুনের বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। এর এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট গর্ভজাত শিশু সন্তানসহ স্ত্রী জালেকা খাতুনকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন সোহেল। এরপর বাবার বাড়িতে থাকলেও স্ত্রী-সন্তানের কোনো খোঁজ নেননি তিনি। ওই বছরের ৭ অক্টোবর জালেকা খাতুনকে নিয়ে তার স্বজনরা সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে তাকে মেনে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সোহেল ৫ লাখ টাকা না দিলে জালেকাকে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দেন।

পরে  ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি জালেকা খাতুন বাদি হয়ে (১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায়) পাবনা আমলী আদালত-৩ এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাঁথিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা পারভীনকে নির্দেশ দেন। তিনি ওই বছরের ১৪ মার্চ তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং ২৮। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে একই বছরের ১২ এপ্রিল আসামী সোহেল রানার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এরপর সমনে হাজির হয়ে আদালতে থেকে জামিন নেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল।

দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) উল্লেখিত সাজার আদেশ দেন। এ সময় আসামী সোহেল রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।


প্রিন্ট