মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে বসত বাড়ির জমি ও গাছপালা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আপন ভাই ও ভাস্তেদের সাথে মনোমালিন্য চলে আসছে এলেম হোসেনের। মঙ্গলবার ২৮ মার্চ বেলা ১১ টার সময় বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আঃ রহমানের পুত্র এলেম হোসেন (৬০) এর বসত বাড়ির পিছনে দেখা যায় বাড়ন্ত দেবদারু গাছ, লেবু গাছ ও মেহগনী গাছ কাটা অবস্থায় ভূমিতে পড়ে আছে।
মাগুরা সদর থানার অভিযোগ পত্রে দেখা যায় মোঃ মনোয়ার হোসেন (৬০) এর দুই পুত্র ওহিদুল ইসলাম (৩০) ও আলামিন ইসলাম (২৮) সর্ব সাং- বাটিকাডাঙ্গা এলেম হোসেনের পরিবারদের দীর্ঘদিন ধরে খুন-জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসতে ছিলো। তারই জের ধরে গত সোমবার ২৭ মার্চ অনুমান দুপুর ১২.৩০ টার সময় এলেম হোসেনের বসত বাড়ির পিছনের বাগানে গিয়ে মনোয়ার হোসেন, ওহিদুল ইসলাম ও আলামিন ইসলাম প্রায় ৫ হাজার টাকার ৩০-৪০ টি বিভিন্ন প্রকারের বাড়ন্ত গাছ দেশিয় অস্ত্রের দ্বারা কেটে মাটিতে ফেলে দেয়।
গাছ কাটার সময় এলেম হোসেন বাধা দিলে তাকে মারধর করতে আসে এবং তাদের পরিবারের সকলকে খুন-জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে এই মর্মে হুমকি দেয়। উক্ত স্থানে ঘটনার এই সময় ৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি জিবলু শেখ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এলেম হোসেন জানান হঠাৎ করেই বিনা কারণে ওহিদুল ইসলাম ও আলামিন ইসলাম আমার বাগানের প্রায় ৪০ টি গাছ কেটে ফেলেছে। আমি আইনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানাই।
মনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে জানান এগুলো এলেম হোসেন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলতেছে, গাছ কাটার সাথে আমি ও আমার দুই ছেলে জড়িত নয়। কিন্তু মনোয়ার হোসেন ও এলেম হোসেনের বৃদ্ধ মা জানান মনোয়ার হোসেন এর দুই ছেলে ওহিদুল ও আলামিন রাগান্বিত অবস্থায় এলেম হোসেনের বসত ভিটার গাছগুলো দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে দিয়েছে। এলেম হোসেনের আর এক ভাই আবুল হোসেন বলেন ৩৬ শতাংশ জায়গা নিয়ে এই বসত বাড়ি। বাড়ির পথ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আপন ভাই ও ভাস্তেদের মধ্যে এই দ্বিধাদ্বন্দের কারণে এই রকম ঘটনা ঘটেছে, তবে তিনি বলেন গাছ কাটা খুবই অন্যায় হয়েছে।
প্রিন্ট