ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরার কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেলো তরুণ উদ্যোক্তা বাপ্পির গরুর খামার

মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নের আলোকদিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে টিনের চালা উড়ে গেলো তরুণ উদ্যোক্তা বাপ্পির গরুর খামারের গোয়াল ঘর। গত শনিবার ২৫ মার্চ সন্ধ্যার পূর্বে মাগুরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়, কোথাও কোথাও বেশ প্রবল বেগে আঘাত হেনেছে এই ঝড়টি।

আর প্রবল এই ঝড়ে অনেকটা খড় কুটোর মতো উড়ে গেছে মাগুরার আলোকদিয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা খন্দকার জাফর ইকবাল বাপ্পির গোয়াল ঘরের গরুর খামারটি। বছর চারেক আগে আলোকদিয়া কৃষি ব্যাংক থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নিজের ১ একর ২০ শতক জমিতে গরুর খামারের পাশাপাশি ও গরুর খাবার জোগানের জন্য ঘাস ও ভুট্টার চাষ করেছিলেন।

এক সময়ের বেকার যুবক এই খামারের উপর ভিত্তি করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামের আরো ২ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু গত কালবৈশাখী ঝড়ে গরুর গোয়ালের টিনের চাল দুমড়ে মুচড়ে প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। সেই সাথে ৬৫ শতক জায়গায় লাগানো ভুট্টা গাছ সম্পূর্ণ মাটির সাথে হেলে পড়েছে ও বিনষ্ট হয়েছে, সর্বসাকুল্য আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ৩ লক্ষ টাকার উপরে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তা বাপ্পির মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। উচ্চ সুদ সমেত ব্যাংকের লোন নিয়ে এখন চোখের সামনে শুধু অন্ধকার দেখছেন।

সরকারি সহযোগিতা না পেলে তিনি হয়তো তার স্বপ্নের এই খামারটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। বর্তমানে এই খামারে ৯ টি গরু রয়েছে। খন্দকার জাফর ইকবাল বাপ্পি জানান বাজারে গরুর খাবারের দাম বহুগুনে বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় যদি কৃষি ব্যাংক আমাকে অন্তত সুদ যদি মওকুফ করতে তাহলে এই যাত্রায় খামারটি বন্ধ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাইতো।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাগুরার কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেলো তরুণ উদ্যোক্তা বাপ্পির গরুর খামার

আপডেট টাইম : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা :

মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নের আলোকদিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে টিনের চালা উড়ে গেলো তরুণ উদ্যোক্তা বাপ্পির গরুর খামারের গোয়াল ঘর। গত শনিবার ২৫ মার্চ সন্ধ্যার পূর্বে মাগুরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়, কোথাও কোথাও বেশ প্রবল বেগে আঘাত হেনেছে এই ঝড়টি।

আর প্রবল এই ঝড়ে অনেকটা খড় কুটোর মতো উড়ে গেছে মাগুরার আলোকদিয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা খন্দকার জাফর ইকবাল বাপ্পির গোয়াল ঘরের গরুর খামারটি। বছর চারেক আগে আলোকদিয়া কৃষি ব্যাংক থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নিজের ১ একর ২০ শতক জমিতে গরুর খামারের পাশাপাশি ও গরুর খাবার জোগানের জন্য ঘাস ও ভুট্টার চাষ করেছিলেন।

এক সময়ের বেকার যুবক এই খামারের উপর ভিত্তি করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামের আরো ২ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু গত কালবৈশাখী ঝড়ে গরুর গোয়ালের টিনের চাল দুমড়ে মুচড়ে প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। সেই সাথে ৬৫ শতক জায়গায় লাগানো ভুট্টা গাছ সম্পূর্ণ মাটির সাথে হেলে পড়েছে ও বিনষ্ট হয়েছে, সর্বসাকুল্য আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ৩ লক্ষ টাকার উপরে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তা বাপ্পির মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। উচ্চ সুদ সমেত ব্যাংকের লোন নিয়ে এখন চোখের সামনে শুধু অন্ধকার দেখছেন।

সরকারি সহযোগিতা না পেলে তিনি হয়তো তার স্বপ্নের এই খামারটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। বর্তমানে এই খামারে ৯ টি গরু রয়েছে। খন্দকার জাফর ইকবাল বাপ্পি জানান বাজারে গরুর খাবারের দাম বহুগুনে বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় যদি কৃষি ব্যাংক আমাকে অন্তত সুদ যদি মওকুফ করতে তাহলে এই যাত্রায় খামারটি বন্ধ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাইতো।


প্রিন্ট