ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে নওদা ক্ষেমিরদিয়ার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৩ মার্চ)বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজনে মোকারিমপুর ইউনিয়ন নওদা ক্ষেমিরদিয়ার মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর হায়াত মাহমুদ।

ভুট্টা প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আবু হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত আছেন ভেড়ামারা কৃষি অফিসার শায়খুল ইসলাম।

এই মাঠ দিবসে মোকারিমপুর ইউনিয়নের নওদা ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের ১২০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদা সুলতান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌস। উপসহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল হক , মাহাবুল আলম ও জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

ভুট্টা চাষী কৃষক মুক্তার হোসেন, হীরা আলি ও করম হোসেন বলেন,ভুট্টার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।গমে অনেক সময় পোকার আক্রমণ হয়। এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু ভুট্টায় পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে।তাছাড়া ভুট্টা চাষে তেমন কোন সেচের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে অনেক চাষি গমের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হচ্ছেন।

সভায় ভেড়ামারা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম জানান এক সময়ের অনাবাদি ও পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। ভুট্টা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য। ছোট বড় সবার কাছেই ভুট্টা সমান জনপ্রিয়। শুধু মানুষ নয়, পশুর খাদ্য হিসেবেও ভুট্টার সমান কদর রয়েছে। তাছাড়া জ্বালানী হিসেবে ভুট্টার গাছ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভূট্টা গাছের কান্ডের রস থেকে উৎপাদিত গুড় খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।

ভুট্টা চাষি আলাউদ্দিন , জিয়ারুল , সিদ্দিকুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ থেকে আমাদেরকে বীজ-সার সহায়তা দেয়া হয়েছে। আমাদের আড়াই একর জমিতে ভুট্টা আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু ভুট্টার যে ফলন হয়েছে, তাতে বর্তমান বাজার দর ৬০০ টাকা মণ দরে ভুট্টা বিক্রি করলে প্রায় এক লাখ টাকা ওঠবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন জানান,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ভুট্টা চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ, মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ভুট্টা চাষে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম। ভুট্টায় পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে।ফলনও বেশি।ভুট্টা মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি গো-খাদ্য, পোল্ট্রি ফিড ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাজারে ভুট্টার চাহিদা ব্যাপক থাকায় এ জেলায় ভুট্টার চাষ দিন দিন বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, ভুট্টা চাষের নিয়ম, উপকারিতা, ব্যবহার, উৎপাদন খরচ, বিক্রি নিয়ে কৃষকদের সাথে সার্বিক আলোচনা করেন।এ সময় তিনি বলেন অন্যান্য কৃষি থেকে ভুট্টা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি তাই তিনি সকলকে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। আর সেই ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও তিনি জানান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার আমিনুল ইসলাম।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে নওদা ক্ষেমিরদিয়ার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৩ মার্চ)বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজনে মোকারিমপুর ইউনিয়ন নওদা ক্ষেমিরদিয়ার মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর হায়াত মাহমুদ।

ভুট্টা প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আবু হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত আছেন ভেড়ামারা কৃষি অফিসার শায়খুল ইসলাম।

এই মাঠ দিবসে মোকারিমপুর ইউনিয়নের নওদা ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের ১২০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদা সুলতান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌস। উপসহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল হক , মাহাবুল আলম ও জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

ভুট্টা চাষী কৃষক মুক্তার হোসেন, হীরা আলি ও করম হোসেন বলেন,ভুট্টার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।গমে অনেক সময় পোকার আক্রমণ হয়। এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু ভুট্টায় পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে।তাছাড়া ভুট্টা চাষে তেমন কোন সেচের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে অনেক চাষি গমের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হচ্ছেন।

সভায় ভেড়ামারা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম জানান এক সময়ের অনাবাদি ও পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। ভুট্টা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য। ছোট বড় সবার কাছেই ভুট্টা সমান জনপ্রিয়। শুধু মানুষ নয়, পশুর খাদ্য হিসেবেও ভুট্টার সমান কদর রয়েছে। তাছাড়া জ্বালানী হিসেবে ভুট্টার গাছ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভূট্টা গাছের কান্ডের রস থেকে উৎপাদিত গুড় খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।

ভুট্টা চাষি আলাউদ্দিন , জিয়ারুল , সিদ্দিকুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ থেকে আমাদেরকে বীজ-সার সহায়তা দেয়া হয়েছে। আমাদের আড়াই একর জমিতে ভুট্টা আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু ভুট্টার যে ফলন হয়েছে, তাতে বর্তমান বাজার দর ৬০০ টাকা মণ দরে ভুট্টা বিক্রি করলে প্রায় এক লাখ টাকা ওঠবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন জানান,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ভুট্টা চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ, মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ভুট্টা চাষে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম। ভুট্টায় পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে।ফলনও বেশি।ভুট্টা মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি গো-খাদ্য, পোল্ট্রি ফিড ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাজারে ভুট্টার চাহিদা ব্যাপক থাকায় এ জেলায় ভুট্টার চাষ দিন দিন বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, ভুট্টা চাষের নিয়ম, উপকারিতা, ব্যবহার, উৎপাদন খরচ, বিক্রি নিয়ে কৃষকদের সাথে সার্বিক আলোচনা করেন।এ সময় তিনি বলেন অন্যান্য কৃষি থেকে ভুট্টা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি তাই তিনি সকলকে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। আর সেই ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও তিনি জানান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার আমিনুল ইসলাম।


প্রিন্ট