ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শেখের বেটি ঘর দিচ্ছে, এর চেয়ে আনন্দের কি

লেবু বাগানে কাজ করতাম, ওই খানেই ছোট্ট একটা ঘরে থাকতাম। নিজের ঘরের কথা তো চিন্তাই করতে পারি নাই। সেখানে শেখের বেটি নতুন ঘর দিচ্ছে, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।

আনন্দে ছলছল চোখে কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের জাম্বুরাছড়ার ত্রিপুরা পল্লীর স্বামীহারা সঞ্চিতা।

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে শাহাজীরবাজার হয়ে যেতে হয় জাম্বুরাছড়ায়। চারিদিক সবুজে ঘেরা। উঁচু টিলাতে উঠলেই চোখে পড়বে বটবৃক্ষ। তার ঠিক নিচেই দু’দিকে রয়েছে লাল টিন আর সাদা রং দিয়ে তৈরি ২৪টি ঘর।

‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা’ মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কেবল গৃহহীন-ভূমিহীনই নয়, ঘর পাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরাও। এতে করে এক সময়ের সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত এই অসহায় মানুষগুলোর জীবন বদলে যাচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার দেশ বলেন, বাংলাদেশে একজনও গৃহহীন থাকবে না, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা অনেক দিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আমরা একটি টিম এখানে আসি। তখন তাদের নিজেদের কোন ঘরবাড়ি ছিলো না, যাও ছিলো তার অবস্থাও খুব নাজুক। খাস জায়গায় তারা বসবাস করতো। পরবর্তীতে আমরা সবকিছু যাচাই বাছাই করে এখানে ২৪টি গৃহ নির্মাণ করি।

লাল মোহন দেববর্মা। তিনিও পাচ্ছেন নতুন ঘর। তিনি জানান, আগে আমাদের ভাঙা ঘর ছিলো, বৃষ্টি নামলেই ঘরে পানি পড়তো। প্রধানমন্ত্রী ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এখন স্থায়ী একটা ঠিকানা পাচ্ছি, কখনও ভাবতে পারি নাই নিজের স্থায়ী ঠিকানা হবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছে ১৪৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢলুছড়া এলাকায় ১০৮টি, জাম্বুরাছড়া ২৪টি, খলিলপুর ১০টি এবং টিকরিয়া এলাকায় ৬টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে, প্রথম পর্যায়ে ৩০০, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০০ ও তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি সহ মোট ৬৫০টি পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, শ্রীমঙ্গলে যোগদানের পরই জাম্বুরাছড়ায় যাই। গিয়ে দেখি ত্রিপুরা উপজাতির কিছু জনগণ সেখানে বসবাস করে, কিন্তু তাদের নিজস্ব কোন কিছু নেই। এইসব দেখে পরবর্তীতে আমরা খুব দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

শেখের বেটি ঘর দিচ্ছে, এর চেয়ে আনন্দের কি

আপডেট টাইম : ০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

লেবু বাগানে কাজ করতাম, ওই খানেই ছোট্ট একটা ঘরে থাকতাম। নিজের ঘরের কথা তো চিন্তাই করতে পারি নাই। সেখানে শেখের বেটি নতুন ঘর দিচ্ছে, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।

আনন্দে ছলছল চোখে কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের জাম্বুরাছড়ার ত্রিপুরা পল্লীর স্বামীহারা সঞ্চিতা।

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে শাহাজীরবাজার হয়ে যেতে হয় জাম্বুরাছড়ায়। চারিদিক সবুজে ঘেরা। উঁচু টিলাতে উঠলেই চোখে পড়বে বটবৃক্ষ। তার ঠিক নিচেই দু’দিকে রয়েছে লাল টিন আর সাদা রং দিয়ে তৈরি ২৪টি ঘর।

‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা’ মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কেবল গৃহহীন-ভূমিহীনই নয়, ঘর পাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরাও। এতে করে এক সময়ের সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত এই অসহায় মানুষগুলোর জীবন বদলে যাচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার দেশ বলেন, বাংলাদেশে একজনও গৃহহীন থাকবে না, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা অনেক দিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আমরা একটি টিম এখানে আসি। তখন তাদের নিজেদের কোন ঘরবাড়ি ছিলো না, যাও ছিলো তার অবস্থাও খুব নাজুক। খাস জায়গায় তারা বসবাস করতো। পরবর্তীতে আমরা সবকিছু যাচাই বাছাই করে এখানে ২৪টি গৃহ নির্মাণ করি।

লাল মোহন দেববর্মা। তিনিও পাচ্ছেন নতুন ঘর। তিনি জানান, আগে আমাদের ভাঙা ঘর ছিলো, বৃষ্টি নামলেই ঘরে পানি পড়তো। প্রধানমন্ত্রী ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এখন স্থায়ী একটা ঠিকানা পাচ্ছি, কখনও ভাবতে পারি নাই নিজের স্থায়ী ঠিকানা হবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছে ১৪৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢলুছড়া এলাকায় ১০৮টি, জাম্বুরাছড়া ২৪টি, খলিলপুর ১০টি এবং টিকরিয়া এলাকায় ৬টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে, প্রথম পর্যায়ে ৩০০, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০০ ও তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি সহ মোট ৬৫০টি পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, শ্রীমঙ্গলে যোগদানের পরই জাম্বুরাছড়ায় যাই। গিয়ে দেখি ত্রিপুরা উপজাতির কিছু জনগণ সেখানে বসবাস করে, কিন্তু তাদের নিজস্ব কোন কিছু নেই। এইসব দেখে পরবর্তীতে আমরা খুব দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করি।


প্রিন্ট