ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুড়গ্রিাম-১ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে শোভনকে দখেতে চায় এলাকার জনগন

কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।তার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরি শোভন।

শোভন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তাঁর দাদা মরহুম শামসুল হক চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি কুড়িগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫-পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী ১৯৮১ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (২০০১-১০) ও ২০১১ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। একই সঙ্গে তিনি ২বারের সফল নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন।

শোভন ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুই বছর মেয়াদি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। পদে থাকা অবস্থায় এবং পদ থেকে সরে আসার পরেও তিনি নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিচ্ছেন। করোনাকালে বিলিয়েছেন মাস্ক, স্যানিটাইজার। দেশজুড়ে বন্যা দেখা দিলে ত্রাণ নিয়ে গেছেন এলাকার মানুষের কাছে।
জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেন, ‘এলাকায় পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। দাদা মানুষের সেবা করেছেন। এখন বাবা মানুষের সেবা করছেন। দায়বদ্ধতা থেকে আমিও মানুষের সেবা করব। যতটুকু সম্বল আছে, ততটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াব।

তিনি আরোও বলেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে সব সময় গভীরভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি।

এলাকার হাট-বাজার গ্রামগঞ্জে বিশেষ কওে সোনাহাট, বলদিয়া, পাইকেরছড়া, শিলখুড়ি, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং দাতা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণসহ এলাকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে আমার।

এলাকার মানুষে দুঃখ নদী ভাঙন, এই নদীকে শাসন করে নদী পাড়ে শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে আমার। যার মধ্যে দিয়ে গোটা উপজেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আমাকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে আমি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি উপহার দেব।

তৃনমূল পর্যায়ের অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের কাছে শোভন এখন চোখের মনি। কুড়িগ্রাম ১ আসনের সাধাধরন জনগন শোভনকে নৌকার মাঝি চায়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুড়গ্রিাম-১ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে শোভনকে দখেতে চায় এলাকার জনগন

আপডেট টাইম : ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
আরিফুল ইসলাম, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।তার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরি শোভন।

শোভন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তাঁর দাদা মরহুম শামসুল হক চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি কুড়িগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫-পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী ১৯৮১ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (২০০১-১০) ও ২০১১ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। একই সঙ্গে তিনি ২বারের সফল নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন।

শোভন ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুই বছর মেয়াদি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। পদে থাকা অবস্থায় এবং পদ থেকে সরে আসার পরেও তিনি নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিচ্ছেন। করোনাকালে বিলিয়েছেন মাস্ক, স্যানিটাইজার। দেশজুড়ে বন্যা দেখা দিলে ত্রাণ নিয়ে গেছেন এলাকার মানুষের কাছে।
জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেন, ‘এলাকায় পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। দাদা মানুষের সেবা করেছেন। এখন বাবা মানুষের সেবা করছেন। দায়বদ্ধতা থেকে আমিও মানুষের সেবা করব। যতটুকু সম্বল আছে, ততটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াব।

তিনি আরোও বলেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে সব সময় গভীরভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি।

এলাকার হাট-বাজার গ্রামগঞ্জে বিশেষ কওে সোনাহাট, বলদিয়া, পাইকেরছড়া, শিলখুড়ি, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং দাতা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণসহ এলাকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে আমার।

এলাকার মানুষে দুঃখ নদী ভাঙন, এই নদীকে শাসন করে নদী পাড়ে শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে আমার। যার মধ্যে দিয়ে গোটা উপজেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আমাকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে আমি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি উপহার দেব।

তৃনমূল পর্যায়ের অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের কাছে শোভন এখন চোখের মনি। কুড়িগ্রাম ১ আসনের সাধাধরন জনগন শোভনকে নৌকার মাঝি চায়।


প্রিন্ট