কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ নিষিদ্ধ পুষ্টি মিশ্রীত সরকারী চাল মজুদ ও কালো বাজারের অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ এবং ০৪ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাদ্দাম মোড় এলাকার মকবুল হোসেন খবিরুল নামের এক চাল ব্যবসায়ীকে সরকারি চালসহ আটক করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, অধিদপ্তরের সরকারী বস্তায় (মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের) ভিডব্লিউবি (দুস্থ মহিলাদের খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা) কার্ডের বিতরণকৃত ছালার বস্তায় ৩০ কেজি ওজনের ১০৩ বস্তা পুষ্টি চাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারী (মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের) ভিডব্লিউবি কার্ডের বিতরণকৃত ছালার বস্তা হইতে আনলোডকৃত সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় ৫০ কেজি ওজনের ৫৭ বস্তা সহ সর্ব মোট ৫,৯৩৯ কেজি ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ নিষিদ্ধ পুষ্টি মিশ্রীত সরকারী চাল মজুদ ও কালো বাজারের সময় মোঃ মকবুল হোসেন খবরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রানি নিজে বাদি হয়ে গ্রেফতার কৃত আসামীর তথ্য মোতাবেক আটককৃত আসামী সহ পলাতক আসামী মোঃ আঃ রহমান (৬০), মোঃ সফি মিয়া (৫০), শরিফ (৫০), মোঃ জাফর আলী (৬০) সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
|
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খবিরুল ধান চাল কেনা বেচার ব্যবসা করে আসছেন। ভিজিডি-ভিজিএফসহ সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি করতো সুবিধা ভোগীরা। সেই চাল ক্রয় করে বিক্রি করতেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আটক ব্যক্তি চাল ব্যবসায়ী। তার নিজস্ব গোডাউন থেকে চালগুলো আটক করেছে পুলিশ। ভিজিডি/ ভিজিএফ এর চাল মানুষ বিক্রি করছে আর ওই ব্যক্তি পাইকারি দামে কিনে গোডাউনে রাখছে। পরে বেশি দামে আস্তে আস্তে বিক্রি করবে। এখনতো ধরা পড়লো পুলিশের হাতে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন আসামীগণের বিরুদ্ধে ভুরুঙ্গামারী থানার মামলা নং ১৪ তাং ১৭/০৩/২৩ ইং, ধারাঃ স্পেশাল পাওয়া এ্যাক্ট এর ২৫(১)/২৫-ডি রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা সহ মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
প্রিন্ট