যশোরের শার্শা উপজেলায় বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবে। গতকাল শনিবার বিকেলে ই-গেটের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে বলেছিলেন তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি এমআরপি পাসপোর্টের প্রবর্তন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইমিগ্রেশনে ই-গেট চালু করা হলো। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণেরই একটি অংশ।
যাত্রীসেবা সহজ ও নিরাপদ করতে বেনাপোল স্থলবন্দরে চারটি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এর দুটি ভারত থকে ফেরা ও দুটি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশে ব্যবহৃত হবে। মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করা হবে। এতে গমনাগমন নিরাপদ হবে। মানুষের ভোগান্তি কমবে। নাগরিকসেবা সহজ হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সময়ে ই-ভিসায়ও চলে যাচ্ছি। ই-ভিসা ও অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন পেলে আরো দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের যাত্রীরা তাদের সার্ভিস পেয়ে যাবে। এটাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।’
ই-গেট উদ্বোধন শেষে বিকেল ৫টায় বেনাপোল ফুটবল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় চেকপোস্টের নো-ম্যানস ল্যান্ডে ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যকার রিট্রেট সেরিমনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনালের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, এমপি মেজর জেনারেল (অব.) ডাক্তার নাসির উদ্দিন, যশোর-৬ আসনের এমপি শাহীন চাকলাদার, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার প্রমুখ।
প্রিন্ট