মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা গ্রামে মা মৌ খামারে লিচু ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়।
শনিবার ৪ মার্চ সকাল ৬.৩০ টার সময়ে মা-মৌ খামার প্রধান কার্যালয় ইছাখাদায় বসন্তের ঋতুতে ১ম বার লিচু ফুলের নির্যাস থেকে সফল মৌচাষী মোখলেছুর রহমান তার মৌ-কর্মীদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করে। লিচু ফুলের মধু বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করার সময় মোখলেছুর রহমান বলেন ১৯৯০ সালে ছাত্রজীবনে প্রাইমারী স্কুলে পড়াশোনার সময় ৪ টি মৌ-বক্স নিয়ে মৌচাষের সাথে জড়িত হই।
এরপর বাণিজ্যিক ভাবে মৌচাষ শুরু করি ২০০৭ সালে প্রায় ৩৩ বছর যাবত সফলতার সাথে মৌচাষ করে যাচ্ছি। মৌচাষ অত্যন্ত লাভজনক ও আনন্দময় চাষ, মৌচাষ করে এলাকার অসংখ্য বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বেকারত্ব দূর হচ্ছে ও এলাকার বেকার যুবকরা সাবলম্বী হচ্ছে। এলাকার কৃষকরাও অত্যন্ত খুশি কারণ মৌমাছি বিভিন্ন ফসলের বসার কারণে ফুলে ফুলে পরাগায়ণ ঘটাচ্ছে এজন্য লিচু ফুলসহ সকল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মোখলেছুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দাবি করেন মাগুরায় আধুনিক মৌ গবেষণাগার স্থাপনার।
তিনি আরও বলেন মাগুরায় একক ভাবে মৌচাষ শুরু হয়েছে। মধু সংগ্রহ করার সময় প্রথমত হারভেস্ট মেশিনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে এবং চাকটাকে অক্ষত অবস্থায় রাখা হয়। মধু প্রসেসিং প্লান্ট মেশিনের মাধ্যমে মধু থেকে পানি শূন্য করে দীর্ঘ দিনের জন্য মধু সংগ্রহ করা হয় এবং রিফেক্টর মেশিন এর মাধ্যমে মধুর মশ্চেয়ার আদ্রতার সঠিক মান পরীক্ষা করা হয়। ইছাখাদা গ্রামের আলম বিশ্বাসের সাথে মা-মৌ খামার নিয়ে কথা হলে তিনি সময়ের প্রত্যাশা কে জানান মা-মৌ খামারের মধু অত্যন্ত সুস্বাদু ও শতকরা একশত ভাগ খাঁটি। আমি নিয়মিত পরিবারের সবার জন্য বছর ধরেই মধু সংগ্রহ করি।
মৌচাষী মোখলেছুর রহমান জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ খামারী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হয়ে ২০১৯, ২০, ২১, ২২ সালে একটানা ৩ বার পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ করে বর্তমানে দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার এবং বাংলাদেশ বি-কিপারস ফাউন্ডেশন এর মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি, মাগুরা প্রচেষ্টা মৌচাষী সমবায় সমিতি এর সাধারণ সম্পাদক এবং নাসিব এর মাগুরা জেলার নির্বাহী সদস্যর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মা-মৌ মধু খামারে সরিষা ফুলের রেণু পাওয়া যায় এই রেণু সেবনে পুরুষের শুক্রাণু ও মহিলাদের ডিম্বাণু বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ্যাত্ব দূর হয় এবং মানব দেহের শরীরের জন্য হাজারো পুষ্টি গুণ সম্পন্ন আছে। এই মধু খামারে লিচু ফুল, সরিষা, সজিনা ও শিমুল, সুন্দরবনের খলিষা ফুলের মধু, কম্বোহানি (চাকসহ), ধনিয়া, খেসাড়ি ফুলের মধু আছে।
প্রিন্ট