গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে রেলওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থা চালু ও টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস মেশিন হস্তান্তর উপলক্ষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আমরা একাধিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতদিন টিকিটপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে অভিযোগ ছিল, তা থেকে বের হওয়ার জন্য ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টিকিট কিনতে পারবেন না। মন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে কোনো প্রকার কালোবাজারি ছাড়াই নিজের টিকিট নিজে কাটতে পারেন সেটি করার জন্যই আমরা টিকিটে জাতীয় পরিচয়পত্র সংযোজন করেছি। এটিই শেষ নয়, প্রয়োজনে আমরা আরও সংস্কার করব। এখন শুধু আন্তঃনগর ট্রেনে এর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে লোকাল ট্রেনেও এটি কার্যকর করা হবে। এখন থেকে অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করলে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া টিটিইদের কাছে পস মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করবে এবং এ টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হবে।’কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় চট্টগ্রামেও কালোবাজারি ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম স্টেশন চত্বরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।