ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময় Logo সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ৬দিনে এলো ১২’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ Logo নাগরপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম বহিষ্কার Logo নড়াইলের জমজম রেস্টুরেন্টের উপর তলার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ভেড়ামারায় অগ্নিকাণ্ডে পানবরজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সহায়তা প্রদান Logo ফরিদপুরে বান্ধব পল্লীতে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ‌ ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব ‌ উৎসব পালন Logo ৫৬১ কোটি টাকার সার আত্মসাতে সাবেক এমপি পোটন সহ পাঁচজন কারাগারে Logo তানোরে কৃষি ভুর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়ম Logo ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo বাঘায় উদ্ধার করা দুই মোটরসাইকেল মালিককে খুঁজছে পুলিশ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

টুম্পাকে টিকটক সেলিব্রেটি বানানোর প্রলোভনে হত্যা, আটক-৩

টিকটকে সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে চাকরির প্রলোভনে টুম্পা নামে এক তরুণীকে ভারতে পাচার ও হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা যশোর ও খুলনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা আলী হোসেন (২০), খুলনা সদর থানার বাসিন্দা কুলসুম বেগম (৪৫) ও তার ছেলে আল-আমিন (১৯)।
হত্যাকান্ডের শিকার তরুণী টুম্পা (১৭) ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা টুম্পাকে পাচার ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-৬ খুলনা ক্যাম্পে প্রেসব্রিফিং করে এই তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন র‌্যাব-৬ খুলনার সিও লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া কুলসুম বেগমের মেয়ে বৃষ্টি এবং জামাই যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা নবাব ভারতে বসবাস করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পাচার করে নিয়ে যায়। বৃষ্টি ও নবাবের সহযোগী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল আমিন। এই চক্রের সদস্যদের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা টুম্পাকে টিকটকে সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে দেয়।

প্রলোভনের ফাঁদে পড়লে ২০২১ সালে টুম্পাকে খুলনায় কুলসুম বেগমের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে দেয়া হয়।
টুম্পাকে ভারতে একটি বাসায় আটকে রেখে ভারতের এনআইডি কার্ড ও আধার কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করানো হতো। এরপর বৃষ্টি ও নবাবের নির্দেশে আলী হোসেনের জিম্মায় অনৈতিক কাজ করার জন্য টুম্পাকে ২ মাস আটকে রাখা হয়েছিল এবং জোরপূর্বক আলী হোসেনের টিকটক ভিডিও বানানো হতো। পাশাপাশি ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।

পরবর্তীতে টুম্পা পাচারকারীদের অনেক গোপন তথ্য জেনে যায় এবং তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশে আসার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে
নবাব ও বৃষ্টির নির্দেশে গত ২৬ জানুয়ারি আলী হোসেন টুম্পাকে হত্যা করে।

এরপর ভারতে টুম্পার লাশ উদ্ধার হলে গুজরাট পুলিশ ফোন করে টুম্পার বাবাকে জানায় যে, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য একটি ফোনের
মাধ্যমে ভিকটিমের বাবাকে জানানো হয় আসামি আলী হোসেন তার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা র‌্যাব বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান আরও জানান, বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব আসামিদের গ্রেফতাররের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং
অভিযান অব্যাহত রাখে। র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী আলী হোসেন
এবং পাচারকারী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল-আমিনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা টুম্পাকে পাচার ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। টুম্পা পাচারের ঘটনায় ঢাকার ডেমরা থানায় মামলা হওয়ায়
আসামিদের ডেমরা থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময়

error: Content is protected !!

টুম্পাকে টিকটক সেলিব্রেটি বানানোর প্রলোভনে হত্যা, আটক-৩

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

টিকটকে সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে চাকরির প্রলোভনে টুম্পা নামে এক তরুণীকে ভারতে পাচার ও হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা যশোর ও খুলনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা আলী হোসেন (২০), খুলনা সদর থানার বাসিন্দা কুলসুম বেগম (৪৫) ও তার ছেলে আল-আমিন (১৯)।
হত্যাকান্ডের শিকার তরুণী টুম্পা (১৭) ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা টুম্পাকে পাচার ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-৬ খুলনা ক্যাম্পে প্রেসব্রিফিং করে এই তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন র‌্যাব-৬ খুলনার সিও লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া কুলসুম বেগমের মেয়ে বৃষ্টি এবং জামাই যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা নবাব ভারতে বসবাস করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পাচার করে নিয়ে যায়। বৃষ্টি ও নবাবের সহযোগী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল আমিন। এই চক্রের সদস্যদের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা টুম্পাকে টিকটকে সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে দেয়।

প্রলোভনের ফাঁদে পড়লে ২০২১ সালে টুম্পাকে খুলনায় কুলসুম বেগমের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে দেয়া হয়।
টুম্পাকে ভারতে একটি বাসায় আটকে রেখে ভারতের এনআইডি কার্ড ও আধার কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করানো হতো। এরপর বৃষ্টি ও নবাবের নির্দেশে আলী হোসেনের জিম্মায় অনৈতিক কাজ করার জন্য টুম্পাকে ২ মাস আটকে রাখা হয়েছিল এবং জোরপূর্বক আলী হোসেনের টিকটক ভিডিও বানানো হতো। পাশাপাশি ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।

পরবর্তীতে টুম্পা পাচারকারীদের অনেক গোপন তথ্য জেনে যায় এবং তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশে আসার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে
নবাব ও বৃষ্টির নির্দেশে গত ২৬ জানুয়ারি আলী হোসেন টুম্পাকে হত্যা করে।

এরপর ভারতে টুম্পার লাশ উদ্ধার হলে গুজরাট পুলিশ ফোন করে টুম্পার বাবাকে জানায় যে, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য একটি ফোনের
মাধ্যমে ভিকটিমের বাবাকে জানানো হয় আসামি আলী হোসেন তার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা র‌্যাব বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান আরও জানান, বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব আসামিদের গ্রেফতাররের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং
অভিযান অব্যাহত রাখে। র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী আলী হোসেন
এবং পাচারকারী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল-আমিনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা টুম্পাকে পাচার ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। টুম্পা পাচারের ঘটনায় ঢাকার ডেমরা থানায় মামলা হওয়ায়
আসামিদের ডেমরা থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।