ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যাত্রীর গায়ের পোশাক পুড়িয়ে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ Logo কালুখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন Logo ঈশ্বরদীতে জব্দকৃত খিচুড়ি এতিমখানায় বিতরণ, জরিমানা ১০ হাজার টাকা Logo ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ার দিঘীতে মিললো এক মণ ওজনের কোরাল মাছ, ৪০ হাজারে বিক্রি ! Logo পদ্মা নদী থেকে ১৯ ঘণ্টা পর কিশোরের লাশ উদ্ধার Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‌ছাত্রলীগের কর্মসূচি পালিত Logo ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‌ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন Logo শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ Logo সদরপুরে পাটের ফলন ভাল হওয়ায় ক্ষেত পরিচর্যা করছে কৃষকেরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরা আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজে জাল স্বাক্ষরে অধ্যক্ষ নিয়োগ !

মাগুরা আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মস্তফা ফারুক আহম্মদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি, দুর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে,কলেজটির অধ্যক্ষের নিজের নিয়োগেই রয়েছে স্বাক্ষর জালিয়াতি। এবং প্রধান সহকারী অনিমেষ তিনি এক বছর কলেজে অনুপস্থিত হাজিরা খাতায়। কলেজের অধ্যক্ষের যোগসাজশে অনুপস্থিত থেকে বেতন তুলেছেন পুরো একবছরের।
এছাড়াও কম্পিউটার কাম ক্লার্ক প্রান্ত কুমারের নিয়োগেও আর্থিক লেনদেন ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।তথ্য সূত্রে জানা গেছে,শিক্ষক কর্মচারীসহ এলাকাবাসী অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছেন,দিচ্ছেন বিভিন্ন মহলে অভিযোগ পএ। আনুমানিক ১২ বছর ক্ষমতার খুটির জোরে রাজণীতির আড়ালে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করছেন কলেজ চত্বরে ।
অধ্যক্ষ মস্তফা ফারুকের বিরুদ্ধে ২৪শে জুলাই২০১০সালে জিবির ১৭১নং সদস্য আলাউদ্দিনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এই শিক্ষক। মামলা চলা কালিন পিবিআই এবং কমিটির সদস্যদের কাছে ধরা পড়েন এসকল ঘটনা।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে কলেজের সেশন ফি, ফরমপূরুন,কলেজের পুকুর লিজ,অভ্যন্তরীণ সম্পদ হতে আয়,সার্টিফিকেট, মার্কসীট, প্রশংসাপত্র, বিভিন্ন দপ্তরের ব্যক্তিগত অনুদান, কর্মচারী শিক্ষকের ডোনেশনসহ বিভিন্ন উৎস হতে আয়ের উৎস থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষক  ও ম্যানেজিং কমিটির অধিকাংশ সদস্যই এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে।চলমান রয়েছে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল কোর্টে মামলা সিআর ৭৭২/২০১৭ মোকাঃ দঃ বিঃ ৪৬৭/৪৬৮/৪০৬/১২০ধারায়। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসার তৎকালীন সময়ে নিয়োগ বানিজ্যের তদন্ত করেন এবং তার বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের অনিত্য অভিযোগ সকল প্রমান মিলে।
এ বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের কাছে ২০১৭ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় জনমনে বিতর্ক সৃষ্টি হলে খাতা যাচাই বাছাই এর নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। যাচাই বাছাই শেষে অধ্যক্ষ অপরাধে অভিযুক্ত হলে আইনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মাগুরা। কিন্তু জেলা প্রশাসক মাগুরা বদলি জনিত কারণে হয়নি কোন সুরাহা চাপা পড়ে যায় এসকল অনিয়মের ফাইল।
তথ্যসূত্রে আরও জানা গেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তক স্বারক নং ৩৭,০২,৫৫০০,০০১,২৭.০০০,১৭-৪৭৭ ইংরাজী ৭/১/২০১৮সালে বোর্ড তদন্ত করেন এ নিয়োগের, আর তাতে ধরা পড়ে সই জালিয়াতি। বোর্ড কর্তপক্ষ অধ্যক্ষর দুর্নীতির সকল তদন্ত প্রমান পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহনের নির্দেশ দেন কমিটিসহ দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের তবুও কিছু হয়নি বাস্তবায়ন।
এ বিষয় বাদী পক্ষ মাগুরা জেলা জুডিশিয়াল কোর্টে অভিযোগ দাখিল করলে, তদন্ত ভার পড়ে পিবিআই এর উপর। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)ঝিনাইদহ তদন্ত প্রতিবেদন,মাগুরা সিআর মামলা নং ৭৭২/১৭ এবং পিসি আদালতের স্মারক নং-১১০৫ থেকে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাদী আনীত অভিযোগ ও ফৌঃকাঃবিঃ ১৬১ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দি পর্যালোচনা করেন পিবিআই তাতে দেখা যায়, কলেজটির রেজুলেশন রেজিষ্টারে মো. আলাউদ্দিন মোল্লার স্বাক্ষর টি প্রামাণ্য” কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের নম্বর ফর্দের স্বাক্ষরটি” বিতর্কিত” । তদন্ত শীটে তারা আরো উল্লেখ করেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ডেমি কাগজে প্রদত্ত স্বাক্ষর গুলো নমুনা স্বাক্ষর সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ,হস্তলিপি বিশারদের স্মাঃ/হস্তলিপি ২৬৭৯(৩০/৯/২০১৮)ফরোয়ার্ডিং এবং বর্ধিত আলোকচিত্র পর্যালোচনায় জানা যায় স্বাক্ষরটি অমিল” রয়েছে।
এছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই আরো উল্লেখ করেন দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে মেসার্স এসআরবি ব্রিকস থেকে ১৮ হাজার ইট গ্রহন। ১ লক্ষ টাকায় টালি খাতা ক্রয়,কলেজ মসজিদের ওযু খানা সংস্কার বাবদ এক লক্ষ টাকা ব্যয়, বিভিন্ন অনুদানের অফিস আদেশের কপি, বিজ্ঞ জেলা জজ মাগুরা নালিশি দরখাস্ত নং ১৪০/১৭, সৈয়দ আজাদুল হক ও সৈয়দা জোহরা বেগম স্মৃতিবৃত্তি/১৬ খাতে এক লাখ টাকা গ্রহণের ধন্যবাদ পত্র। বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে গত ইংরেজি ১৬-৭-১৭ তারিখে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর রেজুলেশন। মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসারের ৭/১/১৮ তারিখের অনুসন্ধান রিপোর্ট জেলা প্রশাসক মাগুরা তদন্ত রিপোর্ট। কৃষি ব্যাংক আলোকদিয়ার বাজার শাখার হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা।
আরজির বিবাদী একজন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত, বিবাদী দুইজনের নাম পুলিশের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই বাদীর মানিত পাঁচজন সাক্ষী নিরপেক্ষ ৬জনের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের প্রদত্ত জবানবন্দী ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ কপি প্রকাশ করেছেন পিবিআই।অনুসন্ধানে প্রাপ্ত বিবাদী কাজী ফখরুজ্জামান সাবেক সভাপতি গভর্নিং বডি ও বিপুল কুমার রায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (বর্তমান সহকারী অধ্যক্ষ) দায়ের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত নম্বর ফর্দে নিয়োগ প্রকৃত কমিটির সদস্য আলাউদ্দিনের পূর্বের স্বাক্ষর অনুকরণ করে কাজী ফখরুজ্জামান নিজে আলাউদ্দিনের জাল স্বাক্ষর প্রদান করেছেন এবং কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিপুল কুমার রায় সেই জাল স্বাক্ষরের নিচে সদস্য পরিচালনা পরিষদের সিল প্রদান করেছেন।
তারা উত্তরুপে তৈরি করার নম্বর ফর্দটি (মূল্যবান দলিল বা ডকুমেন্ট) খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা ফারুক আহমেদের নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করেছে। উভয়ের এহেন অপরাধ পিসিআইনের ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারার অপরাধ তার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিবিআই।আইনের খুটির জরে মস্তফা ফারুক আহম্মদ রাজনীতির আড়ালে এসব করছেন কিনা। আর এর যথাযত বিচার না হলে একটার পর একটা অন্যায় করে যাবেন সুশীল সমাজ চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকবে সচেতন সমাজ ।
এতকিছুর পরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলাম কেন অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না । কি কারনে সভাপতি সাহেব একজন দুর্নীতি বাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছেন কিনা? জন মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে? এ ব্যাপারে সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাষক ও এ্যাডঃ সৈয়দ শরিফুল ইসলাম  উক্ত কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি (জিবি)কে এ বিষয় সাক্ষাৎ কারের জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ সকল বিষয় অধ্যক্ষ মস্তফা ফারুক আহমেদ গনমাধ্যমের সাংবাদিদের এক সাক্ষাৎ কারে ২১শে ফেব্রয়ারি সকালে তিনি মুঠোফোনে জানান, বাদীপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোর্টে অভিযোগ দিয়ে ছিলেন কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন সে মামলা শেষে হয়ে গেছে অনেক আগে।নিশ্চিত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাদী পক্ষের অনিত্য অভিযোগের জেরে অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে মামলাটি চলমান রয়েছে মাগুরা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

যাত্রীর গায়ের পোশাক পুড়িয়ে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ

error: Content is protected !!

মাগুরা আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজে জাল স্বাক্ষরে অধ্যক্ষ নিয়োগ !

আপডেট টাইম : ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
মাগুরা আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মস্তফা ফারুক আহম্মদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি, দুর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে,কলেজটির অধ্যক্ষের নিজের নিয়োগেই রয়েছে স্বাক্ষর জালিয়াতি। এবং প্রধান সহকারী অনিমেষ তিনি এক বছর কলেজে অনুপস্থিত হাজিরা খাতায়। কলেজের অধ্যক্ষের যোগসাজশে অনুপস্থিত থেকে বেতন তুলেছেন পুরো একবছরের।
এছাড়াও কম্পিউটার কাম ক্লার্ক প্রান্ত কুমারের নিয়োগেও আর্থিক লেনদেন ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।তথ্য সূত্রে জানা গেছে,শিক্ষক কর্মচারীসহ এলাকাবাসী অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছেন,দিচ্ছেন বিভিন্ন মহলে অভিযোগ পএ। আনুমানিক ১২ বছর ক্ষমতার খুটির জোরে রাজণীতির আড়ালে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করছেন কলেজ চত্বরে ।
অধ্যক্ষ মস্তফা ফারুকের বিরুদ্ধে ২৪শে জুলাই২০১০সালে জিবির ১৭১নং সদস্য আলাউদ্দিনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এই শিক্ষক। মামলা চলা কালিন পিবিআই এবং কমিটির সদস্যদের কাছে ধরা পড়েন এসকল ঘটনা।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে কলেজের সেশন ফি, ফরমপূরুন,কলেজের পুকুর লিজ,অভ্যন্তরীণ সম্পদ হতে আয়,সার্টিফিকেট, মার্কসীট, প্রশংসাপত্র, বিভিন্ন দপ্তরের ব্যক্তিগত অনুদান, কর্মচারী শিক্ষকের ডোনেশনসহ বিভিন্ন উৎস হতে আয়ের উৎস থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষক  ও ম্যানেজিং কমিটির অধিকাংশ সদস্যই এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে।চলমান রয়েছে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল কোর্টে মামলা সিআর ৭৭২/২০১৭ মোকাঃ দঃ বিঃ ৪৬৭/৪৬৮/৪০৬/১২০ধারায়। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসার তৎকালীন সময়ে নিয়োগ বানিজ্যের তদন্ত করেন এবং তার বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের অনিত্য অভিযোগ সকল প্রমান মিলে।
এ বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের কাছে ২০১৭ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় জনমনে বিতর্ক সৃষ্টি হলে খাতা যাচাই বাছাই এর নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। যাচাই বাছাই শেষে অধ্যক্ষ অপরাধে অভিযুক্ত হলে আইনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মাগুরা। কিন্তু জেলা প্রশাসক মাগুরা বদলি জনিত কারণে হয়নি কোন সুরাহা চাপা পড়ে যায় এসকল অনিয়মের ফাইল।
তথ্যসূত্রে আরও জানা গেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তক স্বারক নং ৩৭,০২,৫৫০০,০০১,২৭.০০০,১৭-৪৭৭ ইংরাজী ৭/১/২০১৮সালে বোর্ড তদন্ত করেন এ নিয়োগের, আর তাতে ধরা পড়ে সই জালিয়াতি। বোর্ড কর্তপক্ষ অধ্যক্ষর দুর্নীতির সকল তদন্ত প্রমান পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহনের নির্দেশ দেন কমিটিসহ দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের তবুও কিছু হয়নি বাস্তবায়ন।
এ বিষয় বাদী পক্ষ মাগুরা জেলা জুডিশিয়াল কোর্টে অভিযোগ দাখিল করলে, তদন্ত ভার পড়ে পিবিআই এর উপর। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)ঝিনাইদহ তদন্ত প্রতিবেদন,মাগুরা সিআর মামলা নং ৭৭২/১৭ এবং পিসি আদালতের স্মারক নং-১১০৫ থেকে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাদী আনীত অভিযোগ ও ফৌঃকাঃবিঃ ১৬১ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দি পর্যালোচনা করেন পিবিআই তাতে দেখা যায়, কলেজটির রেজুলেশন রেজিষ্টারে মো. আলাউদ্দিন মোল্লার স্বাক্ষর টি প্রামাণ্য” কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের নম্বর ফর্দের স্বাক্ষরটি” বিতর্কিত” । তদন্ত শীটে তারা আরো উল্লেখ করেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ডেমি কাগজে প্রদত্ত স্বাক্ষর গুলো নমুনা স্বাক্ষর সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ,হস্তলিপি বিশারদের স্মাঃ/হস্তলিপি ২৬৭৯(৩০/৯/২০১৮)ফরোয়ার্ডিং এবং বর্ধিত আলোকচিত্র পর্যালোচনায় জানা যায় স্বাক্ষরটি অমিল” রয়েছে।
এছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই আরো উল্লেখ করেন দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে মেসার্স এসআরবি ব্রিকস থেকে ১৮ হাজার ইট গ্রহন। ১ লক্ষ টাকায় টালি খাতা ক্রয়,কলেজ মসজিদের ওযু খানা সংস্কার বাবদ এক লক্ষ টাকা ব্যয়, বিভিন্ন অনুদানের অফিস আদেশের কপি, বিজ্ঞ জেলা জজ মাগুরা নালিশি দরখাস্ত নং ১৪০/১৭, সৈয়দ আজাদুল হক ও সৈয়দা জোহরা বেগম স্মৃতিবৃত্তি/১৬ খাতে এক লাখ টাকা গ্রহণের ধন্যবাদ পত্র। বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে গত ইংরেজি ১৬-৭-১৭ তারিখে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর রেজুলেশন। মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসারের ৭/১/১৮ তারিখের অনুসন্ধান রিপোর্ট জেলা প্রশাসক মাগুরা তদন্ত রিপোর্ট। কৃষি ব্যাংক আলোকদিয়ার বাজার শাখার হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা।
আরজির বিবাদী একজন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত, বিবাদী দুইজনের নাম পুলিশের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই বাদীর মানিত পাঁচজন সাক্ষী নিরপেক্ষ ৬জনের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের প্রদত্ত জবানবন্দী ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ কপি প্রকাশ করেছেন পিবিআই।অনুসন্ধানে প্রাপ্ত বিবাদী কাজী ফখরুজ্জামান সাবেক সভাপতি গভর্নিং বডি ও বিপুল কুমার রায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (বর্তমান সহকারী অধ্যক্ষ) দায়ের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত নম্বর ফর্দে নিয়োগ প্রকৃত কমিটির সদস্য আলাউদ্দিনের পূর্বের স্বাক্ষর অনুকরণ করে কাজী ফখরুজ্জামান নিজে আলাউদ্দিনের জাল স্বাক্ষর প্রদান করেছেন এবং কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিপুল কুমার রায় সেই জাল স্বাক্ষরের নিচে সদস্য পরিচালনা পরিষদের সিল প্রদান করেছেন।
তারা উত্তরুপে তৈরি করার নম্বর ফর্দটি (মূল্যবান দলিল বা ডকুমেন্ট) খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা ফারুক আহমেদের নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করেছে। উভয়ের এহেন অপরাধ পিসিআইনের ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারার অপরাধ তার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিবিআই।আইনের খুটির জরে মস্তফা ফারুক আহম্মদ রাজনীতির আড়ালে এসব করছেন কিনা। আর এর যথাযত বিচার না হলে একটার পর একটা অন্যায় করে যাবেন সুশীল সমাজ চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকবে সচেতন সমাজ ।
এতকিছুর পরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলাম কেন অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না । কি কারনে সভাপতি সাহেব একজন দুর্নীতি বাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছেন কিনা? জন মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে? এ ব্যাপারে সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাষক ও এ্যাডঃ সৈয়দ শরিফুল ইসলাম  উক্ত কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি (জিবি)কে এ বিষয় সাক্ষাৎ কারের জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ সকল বিষয় অধ্যক্ষ মস্তফা ফারুক আহমেদ গনমাধ্যমের সাংবাদিদের এক সাক্ষাৎ কারে ২১শে ফেব্রয়ারি সকালে তিনি মুঠোফোনে জানান, বাদীপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোর্টে অভিযোগ দিয়ে ছিলেন কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন সে মামলা শেষে হয়ে গেছে অনেক আগে।নিশ্চিত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বাদী পক্ষের অনিত্য অভিযোগের জেরে অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে মামলাটি চলমান রয়েছে মাগুরা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে।