কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুরে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার ঘটনায় সজিব বিশ্বাস এবং রফিকুল ইসলাম নামে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এছাড়া জমির জোয়াদ্দার, সদর উদ্দিন মন্ডল, আনিচুর রহমান এবং সুমন আলী নামে অপর চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জমির জোয়াদ্দার নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সজিব বিশ্বাস কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিনের ছেলে এবং রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের জানে আলীর ছেলে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জমির জোয়াদ্দার কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার কমিরপুর গ্রামের ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে, সদর উদ্দিন বালিয়াপাড়া গ্রামের মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে, আনিচুর রহমান একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সুমন আলী মো. দিদার আলীর ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, গরুর হাটের টেন্ডারবাজি এবং একটি স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ২০১৬ সালে ১ জানুয়ারি গভীর রাতে ফিরোজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার পরের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ রফিকুল এবং সজিবকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ফিরোজ মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং এ ঘটনায় জড়িত সবার নাম পুলিশের কাছে জানিয়ে দেন।
ঐ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রিন্ট