ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুর উপজেলা নির্বাচন প্রচারণায় এগিয়ে শহীদ মমতাজ উদ্দিনের পুত্র শামীম আহমেদ সাগর Logo তানোরে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ১৪ বছর বয়সে ডিগ্রি পাস করেন দৌলতপুরের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ! Logo নাটোরের বাগাতিপাড়ায় র‌্যাব’র হাতে অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার Logo বোয়ালমারীতে দুই ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, ধরন্ত ফল গাছ কাটলেন ভাবি ! Logo ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকাণ্ড Logo দৌলতপুর নির্বাচনে ডিউটিতে অর্ধ কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য Logo কুষ্টিয়া হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন শাশুড়ি-ননদ, স্বজনদের দাবি হত্যা Logo মাগুরায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ Logo দায়িত্বে অবহেলায় নবজাতের মৃত্যুর অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ঘন্টাব্যাপি শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। একইসাথে ভাষা দিবসের ৭২তম বার্ষিকীতে ৭২টি ফানুস ওড়ানো হয়।

একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহানারা বেগম,নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার কচি খন্দকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু, উদ্যাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু প্রমুখ।

নড়াইল শহরের কুরিগ্রামের বিশাল কুরিরডোব মাঠে ৬ টা ২০ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওঠে। কুরিরডোব মাঠে এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা বিষাদমাখা চিরচেনা সেই-‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে ১ঘন্টাব্যাপি গণসংগীত পরিবেশন করেন। এবার মাঠের মধ্যে বিশাল কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে সেখানে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাসমান আলোকসজ্জ্বা করা হয়।

বরাবরের মতো এবারও, শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে দেড় হাজার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী মাঠ নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন। নড়াইল, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মনোরম এ দৃশ্য উপভোগ করেন।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ ব্যতিক্রমি এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১মাস পূর্ব থেকে বিপুল সংখ্যক সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন।

একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কচি খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আকাংখা এই মঙ্গল প্রদীপের আলো সমাজ থেকে কুসংস্কার, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ দূর করবে এবং পৃথিবীর সমস্ত মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

লালপুর উপজেলা নির্বাচন প্রচারণায় এগিয়ে শহীদ মমতাজ উদ্দিনের পুত্র শামীম আহমেদ সাগর

error: Content is protected !!

নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

আপডেট টাইম : ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ঘন্টাব্যাপি শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। একইসাথে ভাষা দিবসের ৭২তম বার্ষিকীতে ৭২টি ফানুস ওড়ানো হয়।

একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহানারা বেগম,নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার কচি খন্দকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু, উদ্যাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু প্রমুখ।

নড়াইল শহরের কুরিগ্রামের বিশাল কুরিরডোব মাঠে ৬ টা ২০ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওঠে। কুরিরডোব মাঠে এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা বিষাদমাখা চিরচেনা সেই-‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে ১ঘন্টাব্যাপি গণসংগীত পরিবেশন করেন। এবার মাঠের মধ্যে বিশাল কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে সেখানে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাসমান আলোকসজ্জ্বা করা হয়।

বরাবরের মতো এবারও, শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে দেড় হাজার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী মাঠ নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন। নড়াইল, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মনোরম এ দৃশ্য উপভোগ করেন।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ ব্যতিক্রমি এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১মাস পূর্ব থেকে বিপুল সংখ্যক সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন।

একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কচি খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আকাংখা এই মঙ্গল প্রদীপের আলো সমাজ থেকে কুসংস্কার, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ দূর করবে এবং পৃথিবীর সমস্ত মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করবে।