কুষ্টিয়ার খোকসায় দিনের বেলায় ডাকাতির সময় গৃহকত্রীর গলায় তার পেচিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে তালাবন্ধ ঘর খুলে এক ডাকাতকে পাওয়া গেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বি-মির্জাপুর গ্রামে শহিদুজ্জামানের বাড়িতে ডাকাতির উদ্যেশ্যে ডাকাত হানাদেয়। গৃহকত্রী মনোয়ারা বেগম তাদের চিনে ফেলে। একপর্যায়ে ডাকাতরা বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের গলায় বিদ্যুতের মোটা তার ও ওড়না পেঁচিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ সময় মনোয়ারা সজ্ঞাহীন ছিল।
পরে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
বৃদ্ধার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পরিবারের লোকেরা মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এ সময় গৃহকত্রীকে যে ঘরের বারান্দা থেকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সেই ঘরের তালা খুলে জিহাদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সপর্দ করা হয়েছে।
ডাকাত সন্দেহে আটক জিহাদ একই গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে। নিহতের ছেলে বাসারুজ্জামান বুলবুল তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। ফোনে মায়ের অসুস্থ্যতার কথা জেনে হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তার মৃত মাকে পেয়েছেন।
তবে ডাকতরা তার ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার ও নগদ অর্থা নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ডাকাতরা কয়েকজন ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাদের দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আর ঘরে আটকা পরে তার প্রতিবেশীর ছেলে জিহাদ।
তিনি বলেন যারা আমার মাকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
খোকসা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান টিপু ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে তার ভাবি মনোয়ারার গলায় বিদ্যুতের তার ও ওড়না পেচানো অবস্থায় পান।
তিনি নিজে ঘরে তালা দিয়ে বৃদ্ধা (ভাবিকে) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে বন্ধ ঘরের তালা খুলে জিহাদকে পায়। সে তার ভাবির হত্যাকারী বলেও তিনি দাবি করেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, হত্যা কান্ডটি রহস্যজনক। আটক যুবকের দাবি সে প্রতিবেশির মৃত্যুর খবর শুনে ওই বাড়িতে গিয়েছিল।
আবার পরিবারের লোকেরা হাসপাতালকে জানিয়েছিল বৃদ্ধা তড়িতাহত হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন মামলাও হয়নি।
প্রিন্ট