ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১৯২ ভিজিডি কার্ডধারী মাসিক জমাকৃত ৩ লক্ষাধিক টাকা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নে।
কার্ডধারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারীর সংখ্যা ১৯২। প্রত্যেক সদস্যের মাসিক সঞ্চয় ছিল ২০০ টাকা। দুই বছর মেয়াদান্তে প্রত্যেক সদস্য জমাকৃত ৪ হাজার ৮শ টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে কার্ডধারীরা তাদের সঞ্চয় রাখা শুরু করেন। কিন্তু উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্যোগ বাজারে অবস্থিত এজেন্ট ব্যাংকিং ‘ব্যাংক এশিয়া’তে একাউন্ট খোলায় সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়। ফলে ওই ১৯২ ভিজিডি কার্ডধারীর একাউন্ট খোলা হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।
কিন্তু জানুয়ারি থেকেই কার্ডধারীরা মাসে ২০০ টাকা করে জমা দিতে থাকেন। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৯২ কার্ডধারীর জমাকৃত ৮ মাসের তিন লক্ষ ৭ হাজার ২০০ টাকা পরবর্তীতে আর ব্যাংকে জমা পড়েনি। মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্যোগ বাজারে অবস্থিত এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যাংক এশিয়া থেকে ভিজিডি কার্ডধারীরা তাদের জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে গেলে কার্ড প্রতি ১৬শ টাকা কম দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারী তাহমিনা বলেন, আমি ৪৮শ টাকা জমা দিলেও আমাকে ৩২শ টাকা দেয়া হয়েছে। অপর কার্ডধারী মোসান্মাৎ রেশমা বলেন, আমাকেও ৪৮শ টাকার জায়গায় ৩২শ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রূপাপাত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন, আমার মেয়াদকালীন সময়ে যে টাকা পেয়েছি তা কার্ডধারীদের সঞ্চয় হিসেবে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। জমাকৃত টাকা মেয়াদ শেষে ভিজিডি কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যাংক এশিয়ার মালিক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ৮ মাসের টাকা ব্যাংকে জমা পড়েনি।
এ ব্যাপারে ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজিজার মোল্যা টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে টাকাটা আছে। আমি এ মাসের শেষে দিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী বলেন, এর আগেও একবার ওই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান (আজিজার মোল্যা) ভিজিডি কার্ডধারীদের জমাকৃত টাকা কম দেয়ার চেষ্টা করলে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে জমাকৃত টাকা ভিজিডি কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দেই। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান টাকা উঠিয়ে থাকলে টাকা কার্ডধারীদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট