ঢাকা , বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় পরকীয়ায় ধরা খেয়ে বিয়ের দাবিতে বিধবার অনশন

স্বামী মারা গেছে ৬ বছর আগে, দুইটি ছেলে সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই এক বিধবা নারীর বসবাস। ৩২ বছর বয়সী ওই নারী বিধবা হওয়ার সুযোগ নেয় প্রতিবেশি তিন সন্তানের জনক একই গ্রামের মৃত ইসরাইল মাতুব্বর এর ছেলে ৪০ বছর বয়সী জাহিদ মাতুব্বর। ওই নারীর স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কিছু দিন পরেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জাহিদের সাথে।

ভালোই চলছিল তাদের পরকীয়ার ও গোগন সম্পর্ক, বিধিবাম হয়ে গেল গত রাতে। বিধবা নারীর দুই ছেলে একছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর এক ছেলেও ৭তম শ্রেণির ছাত্র, তারা দুই ভাই আলাদা রুমে একসাথে ঘুমায়, মা ঘুমায় একা অন্য, মাঝেমধ্যে ওই পরকীয়ার প্রেমিক আসে।

৯ ফ্রেরুয়ারী বৃহস্পতিবার চলছিলো তাদের পূর্বেরন্যায় পরকীয়ার কার্যক্রম, ঠিক তখন এলাকার লোকজন টের পেয়ে পাকড়াও করে হাতেনাতেই ধরে ফেলেন জাহিদ ও বিধবা ওই নারীকে। ধস্তাধস্তি করে জাহিদ পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাত ২ টার দিকে ওই নারী গিয়ে ওঠেন জাহিদের বাড়িতে। ততক্ষণে জাহিদ বাড়ী থেকা পালিয়ে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে ঐ নারী জাহিদের থাকার ঘরে খাটের উপর অবস্থান করছিলো।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের জুগীকান্দা গ্রামে। দুই পরিবারই এখন বিপাকে, স্থানীয়রা সমাধান দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। স্থানীয়রা খুঁজে ফিরছেন কি তার সমাধান দেওয়া যায়।

এদিকে জাহিদের স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে, জাহিদের সন্তানেরাও যথেষ্ট বড়হয়েছে। বাবার কর্মে হতভম্ব তারা। লোকলজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন তারা।

এদিকে ক্রমেই বাড়িতে উৎসুক জনতার ভীড় জমছে। দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তারা। দুটি পরিবারই বেকায়দায় রয়েছে। এদিকে ওই নারী বলছেন এখন আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। একমাত্র জাহিদের সাথে আমার বিয়ে হলেই এর সমাধান হবে। অন্যথায় আমি কোথাও যাবো না। এখন যদি জাহিদ আমাকে বিয়ে না করে, মরণ ছাড়া আমার কোন পথ খোলা নেই। গতরাত থেকে এপর্যন্ত কোন সমাধান আমাকে কেউ দেয়নি।

অভিযুক্ত জাহিদ বাড়িতে না থাকায় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটানাটি এরকম হওয়ার কথা না। আমার সাথে ওই নারীর কোন সম্পর্ক নাই। স্থানীয় গ্রাম্য দলপক্ষের কারনে ওই নারীকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এবিষয়ে সালথা থানার উপপরিদর্শক এসআই সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় পরকীয়ায় ধরা খেয়ে বিয়ের দাবিতে বিধবার অনশন

আপডেট টাইম : ০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

স্বামী মারা গেছে ৬ বছর আগে, দুইটি ছেলে সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই এক বিধবা নারীর বসবাস। ৩২ বছর বয়সী ওই নারী বিধবা হওয়ার সুযোগ নেয় প্রতিবেশি তিন সন্তানের জনক একই গ্রামের মৃত ইসরাইল মাতুব্বর এর ছেলে ৪০ বছর বয়সী জাহিদ মাতুব্বর। ওই নারীর স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কিছু দিন পরেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জাহিদের সাথে।

ভালোই চলছিল তাদের পরকীয়ার ও গোগন সম্পর্ক, বিধিবাম হয়ে গেল গত রাতে। বিধবা নারীর দুই ছেলে একছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর এক ছেলেও ৭তম শ্রেণির ছাত্র, তারা দুই ভাই আলাদা রুমে একসাথে ঘুমায়, মা ঘুমায় একা অন্য, মাঝেমধ্যে ওই পরকীয়ার প্রেমিক আসে।

৯ ফ্রেরুয়ারী বৃহস্পতিবার চলছিলো তাদের পূর্বেরন্যায় পরকীয়ার কার্যক্রম, ঠিক তখন এলাকার লোকজন টের পেয়ে পাকড়াও করে হাতেনাতেই ধরে ফেলেন জাহিদ ও বিধবা ওই নারীকে। ধস্তাধস্তি করে জাহিদ পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাত ২ টার দিকে ওই নারী গিয়ে ওঠেন জাহিদের বাড়িতে। ততক্ষণে জাহিদ বাড়ী থেকা পালিয়ে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে ঐ নারী জাহিদের থাকার ঘরে খাটের উপর অবস্থান করছিলো।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের জুগীকান্দা গ্রামে। দুই পরিবারই এখন বিপাকে, স্থানীয়রা সমাধান দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। স্থানীয়রা খুঁজে ফিরছেন কি তার সমাধান দেওয়া যায়।

এদিকে জাহিদের স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে, জাহিদের সন্তানেরাও যথেষ্ট বড়হয়েছে। বাবার কর্মে হতভম্ব তারা। লোকলজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন তারা।

এদিকে ক্রমেই বাড়িতে উৎসুক জনতার ভীড় জমছে। দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তারা। দুটি পরিবারই বেকায়দায় রয়েছে। এদিকে ওই নারী বলছেন এখন আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। একমাত্র জাহিদের সাথে আমার বিয়ে হলেই এর সমাধান হবে। অন্যথায় আমি কোথাও যাবো না। এখন যদি জাহিদ আমাকে বিয়ে না করে, মরণ ছাড়া আমার কোন পথ খোলা নেই। গতরাত থেকে এপর্যন্ত কোন সমাধান আমাকে কেউ দেয়নি।

অভিযুক্ত জাহিদ বাড়িতে না থাকায় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটানাটি এরকম হওয়ার কথা না। আমার সাথে ওই নারীর কোন সম্পর্ক নাই। স্থানীয় গ্রাম্য দলপক্ষের কারনে ওই নারীকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এবিষয়ে সালথা থানার উপপরিদর্শক এসআই সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট