বকেয়া ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা পরিশোধ না করার জন্য নড়াইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরে প্রতারনার অভিযোগ করে নিজেই প্রতারনায় ধরা
খেলেন মোঃ জিয়াউর রহমান জামী সাংবাদিক। জামী সাংবাদিকের অভিযোগ তদন্ত করে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় গতকাল বিকালে খারিজ করে আদেশ জারী করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক।
আদেশে বলা হয়েছে সম্মানিত অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩.১২.০২২ ও ৩১.০১.২০২৩ ইং তারিখে উভয় পক্ষকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের নড়াইল কার্যালয়ে উপস্থিত করে প্রমানসহ লিখিত বক্তব্য প্রদান করতে অনুরোধ করা হলে উভয়পক্ষ লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। উভয়পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য গ্রহনের পর অভিযোগকারী মোঃ জিয়াউর রহমান জামী সাংবাদিকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় খারিজ করা হলো।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক বলেন, অভিযোগকারী মোঃ জিয়াউর রহমান জামী কর্তৃক দাখিলকৃত ক্রয় ভাউচারে ৮মিলি রড দিয়ে পিলার তৈরির বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত নাই।
এছাড়া ক্রয় ভাউচারে অভিযোগকারী ও সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোন স্বাক্ষর নাই। ৩১.০১.২০২৩ ইং তারিখে শুনানীর পরে উভয় পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের সহায়তায় সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠান ও অভিযোগকারী কর্তৃক পিলার রাখার স্থানে যাওয়ার পরে দেখা যায় ভাউচারে উল্লেখিত পিলারের সাথে অভিযোগকারীর স্থানে রাখা পিলারের মিল নাই।
সেই কারনে অভিযোগকারী মোঃ জিয়াউর রহমান জামীর অভিযোগ খারিজ করা হয়।
নড়াইল পৌরসভার আলাদাতপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান জামী সাংবাদিকের লিখিত অভিযোগে জানা যায়,শহরের হাতির বাগান এলাকার রাজু স্যানিটারীর নিকট থেকে ৮মিলি রড দিয়ে তৈরি ১২ফুট ও ১১ফুটে মোট ৩৮টি পিলার ক্রয় করার লিখিত চুক্তি করেছিলেন। কিন্ত রাজু স্যানিটারী ৮মিলি রড দিয়ে তৈরি পিলার সরবরাহ না করায় অভিযোগকারী ২৮.১১.২০২২ ইং তারিখে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের নড়াইল কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রাজু স্যানিটারীর প্রোপাইটার মোঃ আসাদ মোল্যা বলেন, মোঃ জিয়াউর রহমান জামী সাংবাদিক আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রাজু স্যানিটারী থেকে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী ১লক্ষ ২৯ হাজার টাকা পরে দিবে বলে। কিন্তু আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে আমার
বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। এবং সে নিজেই প্রতারনা করে ধরা খেয়েছেন।
তদনি আরও বলেন জামী সাংবাদিক আমাদের দেওয়া রাজু স্যানিটারীর আড়ে সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা ১২ফুটে পিলার সরিয়ে পোনে চার ইঞ্চি আড়ে ও লম্বা ৭ ফুটে নিম্ন মানের পিলার এনে রেখেছেন। যেটা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক স্যার তদন্ত করে মিথ্যা প্রমানিত করেছেন।এবং আমাদের রাজু স্যানিটারীর বিরুদ্ধের অভিযোগ খারিজ করেছেন।
তিনি বলেন এতে প্রমানিত হয় সাংবাদিক জামী চিটার ঠক প্রতারক ভুুয়া সাংবাদিক। সে অত্যন্ত শাক্তিশালী দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসী, পরসম্পদলোভী, লাঠিয়াল, গুন্ডা, খুন জখমকারী ও অত্যাচারকারী। সমাজে অন্যায় অত্যাচার ও নানাবিধ অপরাধমুলক কার্য্যকলাপে সে জড়িত। অন্যের সম্পদ, জমি দখল তার নেশা ও পেশা।সাংবাদিকের সাইনবোর্ড নিয়ে সে বিভিন্ন অন্যায় কাজ করে বেড়ায়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেওয়া রাজু স্যানিটারীর মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের ও প্রতিষ্ঠানের মান সম্মান হানি করেছেন। আমার পাওনা ১লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ও তার বিচার চাই। প্রয়োজনে মানহানির মামলা করবো। এসব বিষয়ে বিজয় টিভির সাংবাদিক মোঃ জিয়াউর রহমান জামী বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
প্রিন্ট