ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ Logo গোমস্তাপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo লন্ডন মেয়র সাদিক খানের নতুন সহায়তার প্যাকেজ পরিকল্পনা ঘোষণা Logo রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় Logo শ্বাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ফরিদপুর সদর উপজেলা আসন্ন নির্বাচনে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা Logo নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবক অনুপ পাইন এর মৃত্যু Logo শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্যর প্রতি আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর Logo কালুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম নবজাতকের ঘরে ফেরা Logo ভাঙ্গার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে চান মোখলেছুর রহমান সুমন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।-ফাইল ছবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পাঠাগারে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, গ্রন্থাগারে রাখা বই পড়ে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে তোলার পাশপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবং পাঠক, গবেষক, তথ্য আহরণকারী ব্যক্তিসহ সর্বসাধারণের কাছে গ্রন্থাগারের ভূমিকাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও যুগোপযোগী করে তুলতে দেশের ১০০০টি সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কর্নার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই সংগ্রহে রাখা হয়েছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম এসব বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের গ্রন্থাগারগুলো তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আন্তর্জাতিকমানের গ্রন্থাগারের মতো উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-সম্বলিত এবং অত্যাধুনিক ও নান্দনিক গণগ্রন্থাগার ভবনে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই নিয়ে প্রতিটি জেলার পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধিসৌধ গ্রন্থাগারটিকে একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুল পর্যায়ে ‘লাইব্রেরি-ঘণ্টা’ চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালন গ্রন্থাগার ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সহযোগী ভূমিকা রাখবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ

error: Content is protected !!

গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পাঠাগারে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, গ্রন্থাগারে রাখা বই পড়ে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে তোলার পাশপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবং পাঠক, গবেষক, তথ্য আহরণকারী ব্যক্তিসহ সর্বসাধারণের কাছে গ্রন্থাগারের ভূমিকাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও যুগোপযোগী করে তুলতে দেশের ১০০০টি সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কর্নার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই সংগ্রহে রাখা হয়েছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম এসব বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের গ্রন্থাগারগুলো তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আন্তর্জাতিকমানের গ্রন্থাগারের মতো উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-সম্বলিত এবং অত্যাধুনিক ও নান্দনিক গণগ্রন্থাগার ভবনে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই নিয়ে প্রতিটি জেলার পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধিসৌধ গ্রন্থাগারটিকে একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুল পর্যায়ে ‘লাইব্রেরি-ঘণ্টা’ চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালন গ্রন্থাগার ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সহযোগী ভূমিকা রাখবে।