ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

খোকসায় ইউ আর বাংলাদেশ (ওয়াব) আর্থিক সহযোগিতায় ঘর ও সেলাই মেশিন পেল ফরিদ শেখ

কুষ্টিয়ার খোকসায় ইউ আর বাংলাদেশ (ওয়াব) আর্থিক সহযোগিতায় বসবাসের জন্য ঘর এবং কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন পেল উপজেলার  প্রত্যন্ত অঞ্চল জাগোলবা গ্রামের মোঃ ফরিদ শেখ। চার সন্তান নিয়ে এক রুমের একটা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন হতদরিদ্র অসুস্থ ফরিদ। ঘরটির চারিদিক দিয়ে পাটকাঠির বেড়া কোনমতো বৃষ্টি হলেই পড়তো পানি। ফরিদের চার সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দ্বিতীয় ছেলে ইন্টামিডিয়েটর প্রথম বর্ষের। তৃতীয় ছেলে হেফজো পড়ে। চতুর্থ মেয়ের বয়স চার বছর, এখনো বিদ্যালযে ভর্তি হয়নি। তার সংসারে হাল ধরার মত কেউ ছিল না, ঘর করা তো দূরের কথা এরই মাধ্যে ফরিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সামাজিক সংগঠন উই আর বাংলাদেশ(ওয়াব) তারা একখানা ঘর করে দিয়েছেন এবং কর্মসংস্থানের জন্য দিয়েছেন একটি সেলাই মেশিন।
ওয়াব এর মোডারেটর রাকিব হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান আমরা ওয়াবের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৭১টি ঘর, ৫৮৫১ ব্যাগ রক্ত প্রদান, ২০৪ টি পরিবারের কর্মসংস্থান, প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে খাবার উপহার,২৫০টি হুইলচেয়ার, শীতের পোশাক ৫০০ জনকে, ২৫ জন এতিম বাচ্চাদের মাসিক হারে খরচ বহন করা হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়াদের পরিবার খুঁজে দেওয়া হয়েছে ১৯ জনকে, তিনি আরো জানান সামাজিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন ওয়াব।
উই আর বাংলাদেশ (ওয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা এস এম আকবর বলেন, আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। ওয়াব এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল মাদ্রাসা গড়তে চাই যেখানে কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক সব শিক্ষা থাকবে, সকল সুযোগ সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা। বয়স্কদের যেন রাস্তায় ঘুমাতে না হয় সেজন্য বৃদ্ধাশ্রম ও পথশিশুদের জন্য আবাসস্থল করতে চাই, সেই সাথে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা। হাসপাতাল গড়ার ইচ্ছে আছে যেখানে বিনা পয়সায় বা সামান্য কিছু খরচে চিকিৎসা সেবা পাবে দরিদ্র অসহায় রাস্তায় পড়ে থাকা বেওয়ারিশ মানুষ। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকতে চাই। মানব সেবায় আজীবন লড়ে যেতে চাই। আলো আসবেই ইনশা আল্লাহ।
এসময়  জাগোলবা গ্রামের অসহায় দরিদ্র ফরিদ শেখ বলেন, আমার আগে এক রুমের একটা ঘর ছিল, চারিদিক থেকে পাটকাঠির বেড়া। কোনমতো বৃষ্টি হলেই পানি পড়তো। চার সন্তান নিয়ে এক রুমের ভেতর গাদাগাদি করে বসবাস করতাম। এখন ওয়াবের কল্যাণে তিন রুমের একটা ঘর পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে।  ফরিদ শেখ আরো বলেন, আমি অসুস্থ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এরপর সড়ক দুর্ঘটনায় কোমড়ের দুইটা হাড় ভেঙে গিয়েছে। আমার কর্ম করে খাওয়ার মত অবস্থা নাই। আমাদের একটা সেলাই মেশিন দিয়েছে। যেটা দিয়ে আমার মেয়ে এবং আমার স্ত্রী কাজ করে সংসারে হাল ধরতে পারবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেতবাড়িয়া ইপি সদস্য আব্দুল মতিন, সাবেক ইউপি সদস্য মুসলেম উদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

error: Content is protected !!

খোকসায় ইউ আর বাংলাদেশ (ওয়াব) আর্থিক সহযোগিতায় ঘর ও সেলাই মেশিন পেল ফরিদ শেখ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
কুষ্টিয়ার খোকসায় ইউ আর বাংলাদেশ (ওয়াব) আর্থিক সহযোগিতায় বসবাসের জন্য ঘর এবং কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন পেল উপজেলার  প্রত্যন্ত অঞ্চল জাগোলবা গ্রামের মোঃ ফরিদ শেখ। চার সন্তান নিয়ে এক রুমের একটা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন হতদরিদ্র অসুস্থ ফরিদ। ঘরটির চারিদিক দিয়ে পাটকাঠির বেড়া কোনমতো বৃষ্টি হলেই পড়তো পানি। ফরিদের চার সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দ্বিতীয় ছেলে ইন্টামিডিয়েটর প্রথম বর্ষের। তৃতীয় ছেলে হেফজো পড়ে। চতুর্থ মেয়ের বয়স চার বছর, এখনো বিদ্যালযে ভর্তি হয়নি। তার সংসারে হাল ধরার মত কেউ ছিল না, ঘর করা তো দূরের কথা এরই মাধ্যে ফরিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সামাজিক সংগঠন উই আর বাংলাদেশ(ওয়াব) তারা একখানা ঘর করে দিয়েছেন এবং কর্মসংস্থানের জন্য দিয়েছেন একটি সেলাই মেশিন।
ওয়াব এর মোডারেটর রাকিব হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান আমরা ওয়াবের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৭১টি ঘর, ৫৮৫১ ব্যাগ রক্ত প্রদান, ২০৪ টি পরিবারের কর্মসংস্থান, প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে খাবার উপহার,২৫০টি হুইলচেয়ার, শীতের পোশাক ৫০০ জনকে, ২৫ জন এতিম বাচ্চাদের মাসিক হারে খরচ বহন করা হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়াদের পরিবার খুঁজে দেওয়া হয়েছে ১৯ জনকে, তিনি আরো জানান সামাজিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন ওয়াব।
উই আর বাংলাদেশ (ওয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা এস এম আকবর বলেন, আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। ওয়াব এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল মাদ্রাসা গড়তে চাই যেখানে কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক সব শিক্ষা থাকবে, সকল সুযোগ সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা। বয়স্কদের যেন রাস্তায় ঘুমাতে না হয় সেজন্য বৃদ্ধাশ্রম ও পথশিশুদের জন্য আবাসস্থল করতে চাই, সেই সাথে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা। হাসপাতাল গড়ার ইচ্ছে আছে যেখানে বিনা পয়সায় বা সামান্য কিছু খরচে চিকিৎসা সেবা পাবে দরিদ্র অসহায় রাস্তায় পড়ে থাকা বেওয়ারিশ মানুষ। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকতে চাই। মানব সেবায় আজীবন লড়ে যেতে চাই। আলো আসবেই ইনশা আল্লাহ।
এসময়  জাগোলবা গ্রামের অসহায় দরিদ্র ফরিদ শেখ বলেন, আমার আগে এক রুমের একটা ঘর ছিল, চারিদিক থেকে পাটকাঠির বেড়া। কোনমতো বৃষ্টি হলেই পানি পড়তো। চার সন্তান নিয়ে এক রুমের ভেতর গাদাগাদি করে বসবাস করতাম। এখন ওয়াবের কল্যাণে তিন রুমের একটা ঘর পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে।  ফরিদ শেখ আরো বলেন, আমি অসুস্থ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এরপর সড়ক দুর্ঘটনায় কোমড়ের দুইটা হাড় ভেঙে গিয়েছে। আমার কর্ম করে খাওয়ার মত অবস্থা নাই। আমাদের একটা সেলাই মেশিন দিয়েছে। যেটা দিয়ে আমার মেয়ে এবং আমার স্ত্রী কাজ করে সংসারে হাল ধরতে পারবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেতবাড়িয়া ইপি সদস্য আব্দুল মতিন, সাবেক ইউপি সদস্য মুসলেম উদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।