ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় ভূমিহীনদের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করেছে

ভূমিহীনদের ঘর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদরিদ্র মানুষ এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি। পেয়েছেন মাছ চাষ করার জন্য পাশের ক্যানেল, সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভূমিহীন রাবেয়া, বেমেলা, মর্জিনা ও রোকেয়াদের জীবনমান। জিকে ক্যানেলধারে, খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় তদের জীবনটা বদলে গেছে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে।

সরেজমিনে এসব ঘরে বসবাস করা মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাবন করছেন। বর্তমানে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে পাকাবাড়ী পাওয়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো অনেক খুশী।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মিরপুর উপজেলায় ৩১৭ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার। এরমধ্যে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়ন স্বরুপদহের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণাধীন। শীঘ্রই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শেষে হলে ভূমিহীনদের হাতে এই ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।

মিরপুর উপজেলার গৌড়দহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মর্জিনা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী যে জায়গাটুকু দিয়েছে, সেখানে থাকার ঘরের পাশের জায়াগাটির সঠিক ব্যবহারের জন্য লাউ, শিম, বেগুন, পালং শাক, লালশাকের আবাদ করা হচ্ছে। এখানে সবজি চাষ করে পরিবারের খাওয়া এবং বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছি। এতে আমাদের বেশ স্বচ্ছলতাও এসেছে।

কথা হয় রাবেয়ার সাথে। তিনি জানান, ক্যানেলের ধারে খুপড়ি ঘরেই ছিলো আমাদের বসবাস। আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। আমার তিনটা মেয়ে। এ মধ্যে একটা মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল)। আর দুইটা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের ইউএনও স্যার আমার বাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমার মাথা গোঁজার কোন ঠাই ছিল না। আজ আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে খুব ভালো রাখেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন উনাকেও সুস্থ রাখেন।

রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন মজনু বিশ্বাস। তিনি বলেন, পরিবারে এক ছেলে, এক মেয়ে ও আমার স্ত্রীসহ মোট চার জনের বসবাস। আমার ছোট ছেলেটি ক্লাস এইটে পড়াশোনা করে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে আয় উপার্জন করার ব্যাক্তি আমি নিজেই। অনেক বয়স হয়েছে আমার। নিজের কোন জমি বা বাড়ী ছিলো না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আমি ধন্য।

বেমেলো খাতুন (৬০)। ৮ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। ক্যানেলের ধারে পলিথিন মোড়ানো ছোট একটা ঘরে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর পেয়ে তিনি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমার খুবই আনন্দ লাগছে। পলিথিন টানানো ঘরে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতাম। সরকার আমাকে নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমি নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই। আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পাওয়া হুরজেল আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্ত্রীকে সাথে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতাম। আমার কয়েকবছর আগে পক্ষাঘাতে (প্যারালাইজড) এ আক্রান্ত হয়ে পড়ি। বেশ কয়েক বছর ধরে এই দূরারোগ্য ব্যাধির কবলে পড়ে সংসারটা এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে সংসার চালানোর জন্য আমার স্ত্রী এই সরকারী বাড়ীতে হাঁস/মুরগি পালন করছে। এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় আমি সরকারের প্রতি অনেক খুশী। তবে আমার চিকিৎসার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মত একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য  ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ।

উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে সুবিধাভোগীরা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এজন্য সবসময়ই তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয়। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে আমরা তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবারগুলো খুব খুশি কেননা তাদের না ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই, না ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানা। এখন তারা নির্দিষ্ট ঠিকানা পেয়েছে, ফলে শান্তিতে সুখের নীড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো ঘুরে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের বীজ সহায়তা প্রদান করেছি। এতে করে তারা লাউ ও শীমের গাছ ঘরের চিনের চালের উপরে তুলে দিতে পারছে অন্যদিকে বাড়ীর আঙ্গিনায় শাকসবজিসহ বেগুন ফুলকপির আবাদ করে সংসাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে আয় কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহারা মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে। তিনি আরও বলেন, যাদের কিছুই ছিল না, যারা ক্যানেলের ধারে থাকতো, আবার কেউ কেউ অন্যের ওঠানে থাকতো। তাদের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে কেবল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখা হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই জমি ও ঘর তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাইতো তারা চিরকৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় ভূমিহীনদের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করেছে

আপডেট টাইম : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

ভূমিহীনদের ঘর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদরিদ্র মানুষ এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি। পেয়েছেন মাছ চাষ করার জন্য পাশের ক্যানেল, সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ভূমিহীন রাবেয়া, বেমেলা, মর্জিনা ও রোকেয়াদের জীবনমান। জিকে ক্যানেলধারে, খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় তদের জীবনটা বদলে গেছে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে।

সরেজমিনে এসব ঘরে বসবাস করা মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাবন করছেন। বর্তমানে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে পাকাবাড়ী পাওয়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো অনেক খুশী।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মিরপুর উপজেলায় ৩১৭ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার। এরমধ্যে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়ন স্বরুপদহের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণাধীন। শীঘ্রই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শেষে হলে ভূমিহীনদের হাতে এই ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।

মিরপুর উপজেলার গৌড়দহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মর্জিনা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী যে জায়গাটুকু দিয়েছে, সেখানে থাকার ঘরের পাশের জায়াগাটির সঠিক ব্যবহারের জন্য লাউ, শিম, বেগুন, পালং শাক, লালশাকের আবাদ করা হচ্ছে। এখানে সবজি চাষ করে পরিবারের খাওয়া এবং বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছি। এতে আমাদের বেশ স্বচ্ছলতাও এসেছে।

কথা হয় রাবেয়ার সাথে। তিনি জানান, ক্যানেলের ধারে খুপড়ি ঘরেই ছিলো আমাদের বসবাস। আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। আমার তিনটা মেয়ে। এ মধ্যে একটা মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল)। আর দুইটা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পেয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের ইউএনও স্যার আমার বাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমার মাথা গোঁজার কোন ঠাই ছিল না। আজ আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে খুব ভালো রাখেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন উনাকেও সুস্থ রাখেন।

রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন মজনু বিশ্বাস। তিনি বলেন, পরিবারে এক ছেলে, এক মেয়ে ও আমার স্ত্রীসহ মোট চার জনের বসবাস। আমার ছোট ছেলেটি ক্লাস এইটে পড়াশোনা করে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে আয় উপার্জন করার ব্যাক্তি আমি নিজেই। অনেক বয়স হয়েছে আমার। নিজের কোন জমি বা বাড়ী ছিলো না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আমি ধন্য।

বেমেলো খাতুন (৬০)। ৮ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। ক্যানেলের ধারে পলিথিন মোড়ানো ছোট একটা ঘরে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর পেয়ে তিনি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমার খুবই আনন্দ লাগছে। পলিথিন টানানো ঘরে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতাম। সরকার আমাকে নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমি নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই। আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পাওয়া হুরজেল আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্ত্রীকে সাথে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতাম। আমার কয়েকবছর আগে পক্ষাঘাতে (প্যারালাইজড) এ আক্রান্ত হয়ে পড়ি। বেশ কয়েক বছর ধরে এই দূরারোগ্য ব্যাধির কবলে পড়ে সংসারটা এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে সংসার চালানোর জন্য আমার স্ত্রী এই সরকারী বাড়ীতে হাঁস/মুরগি পালন করছে। এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় আমি সরকারের প্রতি অনেক খুশী। তবে আমার চিকিৎসার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মত একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য  ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ।

উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে সুবিধাভোগীরা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এজন্য সবসময়ই তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয়। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে আমরা তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবারগুলো খুব খুশি কেননা তাদের না ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই, না ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানা। এখন তারা নির্দিষ্ট ঠিকানা পেয়েছে, ফলে শান্তিতে সুখের নীড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো ঘুরে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের বীজ সহায়তা প্রদান করেছি। এতে করে তারা লাউ ও শীমের গাছ ঘরের চিনের চালের উপরে তুলে দিতে পারছে অন্যদিকে বাড়ীর আঙ্গিনায় শাকসবজিসহ বেগুন ফুলকপির আবাদ করে সংসাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে আয় কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহারা মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে। তিনি আরও বলেন, যাদের কিছুই ছিল না, যারা ক্যানেলের ধারে থাকতো, আবার কেউ কেউ অন্যের ওঠানে থাকতো। তাদের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে কেবল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখা হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই জমি ও ঘর তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাইতো তারা চিরকৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।