কুষ্টিয়ার খোকসায় কালির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার প্রথম পর্ব সমাপ্তি জমে উঠেছে ৬শ বছরের ঐতিহ্যবাহী কালী পূজা মেলা। কালিবাড়ির বিশাল মাঠ জুড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
মাঘের অমাবস্যা তিথিতে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মহিষ ও পাঠা বলির মধ্য দিয়ে কালী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, আজ রবিবার সন্ধ্যায় কালির প্রতিভা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজা প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়। সপ্তমীতে মাঘি ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। কিন্তু মেলা চলবে প্রায় পক্ষ কালব্যাপী।
রবিবার বিকেলে খোকসা কালীবাড়ি মন্দির থেকে কালির প্রতিমা বের করার সাথে সাথে হাজার হাজার ভক্তবিন্দু প্রতিমা বিসর্জনের জন্য খোকসা গড়াই নদীর তীরে অবস্থান নেয়। ভক্তগণ নদীর দুই পারে দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেলা উৎসব পালন করে। অনেকে আবার নৌকায় ঘুরে ঘুরে প্রতিমাকে বিদায় জানাই।
কালির প্রতিমা বিসর্জনের সময় খোকসা গড়াই নদীর তীরে শ্মশান ঘাটে উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস, ওসি তদন্ত মামুনুর আর রশিদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা, বিআরডিবি কর্মকর্তা ইয়ারুল ইসলাম,কালিপুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস খোকসা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদুল ইসলাম প্রবীন প্রমুখ।
এছাড়াও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যগণ ও ভক্তবৃন্দ নদীর দুপারে ও নদীতে নৌকায় ঘুরে ঘুরে পূজা বিসর্জন দেখেন। এছাড়াও উপজেলার আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পূজা উৎসব ঘুরে দেখেন এবং খোঁজ খবর নেন।
দুই বছর করোনা কালীন সময়ে কালীপূজাকে ঘিরে মেলা না হলেও এ বছর কালিবাড়ি বিশাল মাঠ বিশাল গ্রামীণ মেলা ৫ শতাধিক দোকানী তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে এবং হাজার হাজার ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভিড়ে খোকসা কালীবাড়ি এখন উৎসব মুখোর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রামীণ মেলা চলবে ১৫ দিনব্যাপী।
প্রিন্ট