মাগুরা শালিখায় তাল খড়ী( ইউপি) ছান্দড়া গ্রামে এক কিশোরকে চুরির অপবাদে শারীরিক নির্যাতন মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।আহত কিশোরের পিতা কোহিনুর মোল্লা ঘটনাটি দফা-রফা করে আসামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।শালিখা উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের সজিব(১৩) নামের এক কিশোরকে চুরির অপবাদ দিয়ে পায়ে পেরেক ফুটিয়ে শারিরীক ভাবে অমানবিক ভাবে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত করে নির্যাতন করেছে স্থানীয় এক পোল্ট্রি ও মুদি ব্যবসায়ী হাসান আলী।
আহত কিশোর সজিব এখন মুমূর্ষ অবস্থায় শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত সজিবের পিতা কোহিনুর মোল্লা আসামিপক্ষের সাথে লিয়াযো করে মামলা করবে না বললেও শালিখা থানা পুলিশ প্রশাসন ১৫১ ধারায় হাসান আলীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
জানাযায় গত কাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছান্দড়া গ্রামের চৌরাস্তার মোঃ জাফর আলীর পুত্র পোল্ট্রি ও মুদি ব্যবসায়ী হাসান আলী তার দোকানে কোহিনূরের পুত্র কিশোর সজীব হোসেন কে দোকানের ভিতর দেখতে পায়।এ সময় হাসান চুরির অপবাদ দিয়ে সজিব কে বেদম মারপিট করে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে।এ সময় সজিবের হাটু পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় শালিখা থানার পুলিশ বাহিনী উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সজীবের পিতা কোহিনুর মোল্লা বলেন আমার ছেলেকে মারপিটের ঘটনা সত্য।তবে পায়ে পেরেক ফুটায়নি, সে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে।হাসন আলী আমার মামাত ভাই তার বিরুদ্ধে মামলা করবো না।অনেকে বলেছেন আমাকে মোটা অংকের টাকা পেয়ে কোহিনুর মামলা থেকে বিরত রয়েছে।
শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বিশারুল ইসলাম বলেন আহত সজিবের পিতা বাদী হয়ে মামলা না দেয়ায় আমরা হাসান আলীকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।
প্রিন্ট